• এত ভুল কেন হচ্ছে?‌ মাধ্যমিক–উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষকদের থেকে জানতে চাইবে পর্ষদ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ জুলাই ২০২৪
  • মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষা দেওয়ার পর যখন ফলাফল প্রকাশ হয় তখন তাতে অনেকেই সন্তুষ্ট হতে পারেন না। তাই প্রত্যেক বছর রিভিউ করতে আবেদন জমা পড়ে। স্ক্রুটিনি করার পর নম্বর অনেকেরই বেড়ে যায়। তার জেরে বদলে যায় মেধা তালিকা। এবারও এমন ঘটনা ঘটেছে। মাধ্যমিকে এই বছর রিভিউ করে সর্বোচ্চ ২২ নম্বর বেড়েছে। আর উচ্চমাধ্যমিকে এবার প্রথম সরাসরি পোর্টালে অনলাইনে নম্বর আপলোড করতে গিয়ে পরীক্ষকদের কেউ কেউ উল্টো নম্বর তুলেছেন। তা নিয়ে দেখা দেয় বিড়ম্বনা। উচ্চমাধ্যমিকে বাড়তি ফি’‌র বিনিময়ে তৎকাল পিপিএস এবং পিপিআর চালু হয়েছে। তাতে ২৫–৩০ নম্বর করে বেড়েছে পরীক্ষার্থীদের। এই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।

    এই বছর অনেক পড়ুয়ার কলেজে ভর্তি হওয়ার পর নম্বর বেড়েছে। তা নিয়ে তাদের খেদ আছে। কারণ আগে যদি নম্বর সঠিক থাকত তাহলে মেধার ভিত্তিতে আরও ভাল কলেজে ভর্তি হওয়া যেত। সেটা হল না। তবে স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে যথাক্রমে ৫৫ হাজার ও ৪৬ হাজার পরীক্ষক রয়েছেন। ফলে তাঁদের উপর চাপও রয়েছে। এখন যদি তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে পরীক্ষকের সংখ্যা আরও কমে যাবে। এমনকী এসব ঘটলে বহু পরীক্ষকই খাতা দেখতে চাইবেন না।


    এই আবহে যাতে কোনও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। যখন মাধ্যমিক–উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখতে হয় তখন একাদশের বার্ষিক পরীক্ষারও খাতা ওই পরীক্ষকদের দেখতে হয়। এই বিষয়টি নিয়ে স্কুলশিক্ষা দফতরের বক্তব্য, এই কারণে পরীক্ষকদের উপর চাপ থাকে। আর সার্বিকভাবে পরীক্ষকরা যদি রিভিউ ও স্ক্রুটিনিতে নজর না দেন সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়ার সুযোগ থাকবে না। তাই পড়ুয়াদের কথা আগে ভাবতে হয়। আর তা করতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়ে যায়। সেই ভুল যাতে শুধরে নেওয়া যায় সে কথাও ভাবা হচ্ছে।

    এই বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নির্ভুল করতে পর্ষদ এই বছর বিষয়ভিত্তিক মডেল আনসার স্ক্রিপ্ট আগাম পাঠিয়েছে পরীক্ষকদের কাছে। ভুল থাকা খাতার পরীক্ষক, স্ক্রুটিনিয়ার এবং প্রধান পরীক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে।’ আর উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘ভুল সংশোধনে আমরা অঞ্চলভিত্তিক প্রধান পরীক্ষকদের সঙ্গে দ্রুত বৈঠক করব। এত ভুল কেন হচ্ছে?‌ সেটা তাঁদের থেকে জানতে যাওয়া হবে।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)