এই সময়, আসানসোল: দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে এবার ফেসিয়াল রেকগনিশন সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশন। নির্ভয়া প্রকল্পে এর জন্য এই ডিভিশনের ৫৩টি স্টেশনে বসানো হচ্ছে ৭৩০টি সিসি ক্যামেরা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেমে দুষ্কৃতীদের ছবি আপলোড করা থাকবে। এতে রেলে যাত্রী নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো যাবে।’কী ভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম?
আসানসোল ডিভিশনের কোনও স্টেশনে কুখ্যাত কোনও দুষ্কৃতী এলে তা আরপিএফ কন্ট্রোলরুমের বিশেষ মনিটর থেকে জানতে পারবেন রেলসুরক্ষা বাহিনীর আধিকারিকরা। মনিটরে ভেসে উঠবে ওই দুষ্কৃতীর মুখ। কন্ট্রোলরুমে বাজতে থাকবে বিশেষ ধরনের অ্যালার্ম। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তারও করা হবে। এই সিসি ক্যামেরার সঙ্গে যোগ করা হবে বিশেষ সফটওয়্যার।
সেই সফটওয়্যারে আসানসোল ছাড়াও হাওড়া ডিভিশন এবং রাজ্য পুলিশের হেফাজতে থাকা দুষ্কৃতিদের প্রায় সাড়ে চারশো ছবি এখানে আপলোড করা থাকবে। আসানসোল ডিভিশনের আরপিএফ-এর সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার রাহুল রাজ জানান, এই ডিভিশনের ৫৩টির মধ্যে রয়েছে চিত্তরঞ্জন, পানাগড়, রানিগঞ্জ, মধুপুর, জসিডির মতো বড় স্টেশন।
বলেন, ‘সামনের শ্রাবণ মাসে ১০ লক্ষের উপর পুণ্যার্থী জসিডি, দেওঘর, বৈদ্যনাথধাম, বাসুকীনাথ স্টেশনে আসেন। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য এই বিশেষ সিসিটিভি সেখানে বসানো হবে। এই হিসেবের বাইরে আসানসোল ও দুর্গাপুর স্টেশন আলাদা করে সিসিটিভিতে মোড়া রয়েছে। এই সফটওয়্যার ওই দুই স্টেশনেও বসানোর কাজ চলছে।’
আরপিএফ আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় অপরাধের পর পালানোর জন্য ট্রেনকে ব্যবহার করছে দুষ্কৃতীরা। সে ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা কাজে আসবে। কয়েকদিন আগে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের আধিকারিকরা সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, রেল শহর সমেত পুরো এলাকায় কোনও মুহূর্তে দুষ্কৃতীরা নাশকতা চালাতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এমন রিপোর্ট তাঁদের কাছে রয়েছে।
নির্ভয়া প্রকল্পে ঝাড়খণ্ডের মিহিজামে অবস্থিত চিত্তরঞ্জন রেল স্টেশনকে ৩৮টি ফেসিয়াল রেকগনিশন সিসি ক্যামেরা বসানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পানাগড় স্টেশনেও বসানো হবে ৩৮টি ক্যামেরা। এই রেল স্টেশনের পাশেই রয়েছে সেনাবাহিনীর বিশেষ দপ্তর। ফলে নিরাপত্তার খাতিরে এই স্টেশনটির বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে।
রানিগঞ্জেও বসানো হচ্ছে ৩৮টি ক্যামেরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রানিগঞ্জে স্বর্ণবিপণিতে ডাকাতির পর একাধিক ডাকাত ট্রেনে উঠে চলে গিয়েছিল বিহারে।