ধীমান রায়, আউশগ্রাম: তৃণমূলের মঞ্চে জমাটি নাটক! রবিবার দলবদলের অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী রইল আউশগ্রামের অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। এখানকার দুই সিপিএম সদস্য দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের। উন্নয়নের কাজে শামিল হতেই শাসকদলের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এই দলবদলের ছবিটা কিন্তু বেশ আলাদা। আর তা নিয়েই আলোচনা জেলার রাজনৈতিক মহলে।
রবিবার আউশগ্রামের বিষ্ণুপুর গ্রামে মঞ্চ বেঁধে তৃণমূলের (TMC)এক অনুষ্ঠান চলছিল। আউশগ্রাম ২ ব্লকের অমরপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই গ্রাম। সেখানেই অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী রইলেন সকলে। গত পঞ্চায়েত ভোটে এখানকার ১৯ আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ১৩টিতে। সিপিএম ৫ এবং বিজেপি একটি আসনে জয়ী হয়। এদিন বিষ্ণুপুর গ্রামের দুই সিপিএম (CPM) সদস্য মাসকুরা খাতুন ও শেখ আজাহারউদ্দিন দলের লাল পতাকা কাঁধে সোজা উঠে যান তৃণমূলের মঞ্চে। এর পর কাস্তে-হাতুড়ি-তারা সম্বলিত পতাকা মঞ্চে নামিয়ে রেখে হাতে তুলে নেন ঘাসফুলের দলীয় পতাকা। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন আউশগ্রামের (Ausgram)তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার। ছিলেন আউশগ্রাম-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি আবদুল লালন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতা বারুই, যুব তৃণমূল নেতা সঞ্জু শেখ-সহ অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব। মাসকুরা ও আজাহারউদ্দিনের যোগদানে তৃণমূলের আসন বেড়ে দাঁড়াল ১৫।
এনিয়ে যদিও স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, জোর করে দলবদল করানো হয়েছে তাঁদের। জয়ী ৫ সদস্যের উপরই তৃণমূল চাপ বাড়াচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু মাসকুরা ও আজাহারউদ্দিনের পালটা দাবি, কোনও চাপ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) যেভাবে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন, তাতে শামিল হতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাহলে নিজের এলাকার উন্নয়ন সহজে সম্ভব। আর মানুষ তো কাজের জন্যই নির্বাচিত করেছেন। সেই কাজ দ্রুত হওয়া কাম্য।