• খুন করে পালিয়েছে বাবা! মায়ের নিথর দেহের পাশে বসে কেঁদেই চলেছে আড়াই বছরের একরত্তি...
    ২৪ ঘন্টা | ০১ জুলাই ২০২৪
  • তথাগত চক্রবর্তী: মায়ের দেহের পাশে বসে কান্না একরত্তির। গৃহবধুকে খুন করে পলাতক স্বামী-সহ বাড়ি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। খবর পেয়ে কুলতলী থানার পুলিস ঘটনার স্থলে পৌঁছে মা ও শিশুকে উদ্ধার করে। ঘটনায় খুনের মামলা রুজু। অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। 

    কুলতলী থানার মধুসূদনপুর এলাকায় বাড়ি মামণি হালদারের। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় কুলতলির দেউলবাড়ী দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধবপুর এলাকার যুবক সাগর হালদারের সঙ্গে। দুই বাড়ির এই বিয়েতে মত ছিল না। এই কারণে বছর তিনেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে তারা। যদিও পরে দুই বাড়ির লোকই বিষয়টি মেনে নেয়। তাদের একটি আড়াই বছরের সন্তানও আছে।

    বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পারিবারিক নানান কারণে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। স্বামী ও ভাসুর মিলে মামণি হালদারকে মারধর করতে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকবার দুই পরিবার একসঙ্গে বসে ও গ্রামের মানুষকে নিয়ে এর মীমাংসাও করে। তারপর কিছুদিন ঠিকঠাক চললেও ফের অশান্তি শুরু হত। কিছুদিন আগে জামাইষষ্ঠীতে মামণি হালদার স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়িতে আসে।

    জামাইষষ্ঠী মিটলে এখান থেকেই স্বামী কলকাতায় কাজে চলে যায়। কলকাতায় সাগর রং-এর কাজ ছাড়াও আরও নানান কাজ করত। শনিবার স্বামী সাগর হালদার ফোন করে মামণিকে বাড়ি যেতে বলে। স্বামীর কথামতো শনিবারই শ্বশুরবাড়ি ফিরে যায় মামণি। রবিবার মেয়ে বাবাকে ফোন করে বলে যে তাকে প্রচন্ড মারধর করা হচ্ছে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই জামাই ফোন করে বলে মামণি বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।

    এই খবর পেয়ে বাড়ির লোক শ্বশুর বাড়িতে গেলে দেখে মামণির দেহ বাড়ির উঠোনে পড়ে রয়েছে। পুরো বাড়ি ফাঁকা। মায়ের মৃতদেহের পাশে বসে কেঁদেই যাচ্ছিল একরত্তি শিশু। মামণি পরিবারের লোক খবর দেয় কুলতলী থানায়। পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় কুলতলী থানায় খুনের অভিযোগ মামণির পরিবারের। মামণির বাবা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। দেহ আজই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)