ভোটপর্ব মিটেছে এক মাসও হয়নি। আর তার মাঝেই দাম বাড়ল পেট্রোল ও ডিজেলের। ১ জুলাই অর্থাৎ সোমবার থেকে দাম বাড়ল জ্বালানির। এদিন থেকে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বাড়ল ১.০১ টাকা ও ডিজেলের দাম বাড়ল লিটার প্রতি ১.০২ টাকা। এই দাম বৃদ্ধির ফলে শহর কলকাতায় পেট্রোলের মূল্য বেড়ে হল ১০৪.৯৫ টাকা এবং ডিজেলের মূল্য বেড়ে হল ৯১.৭৬ টাকা।'পুরনো স্বভাব বজায় রেখেছে'এদিকে ভোটের পরেই এই দাম বৃদ্ধির ফলে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, 'এটা আমরা সবাই জানতাম। এর আগে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের সময়েও আমরা দেখেছিলাম পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আর ভোটের ফল প্রকাশের পর তা আবার বেড়ে যায়। সেই পুরনো স্বভাব বজায় রেখেই কেন্দ্রীয় সরকার, নির্বাচনের পর আবার মানুষের উপের বোঝা চাপিয়ে দিল।'
তীব্র সমালোচনা বাম-কংগ্রেসেরকংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, 'এটা মুনাফাখোরের সরকার। গত ১০ বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচাতেলের দাম কম থাকা সত্ত্বেও পেট্রোপণ্যের দাম এত বাড়িয়েছে যে পরিবহণ ও জিনসপত্রের মূল্য আকাশ ছুঁয়েছে। সরকার সাধারণ মানুষের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে পেট্রোল ডিজেলের থেকে অগাধ টাকা তুলছে ও পকেট ভরছে। এটা জনবিরোধী সরকার।' পাশাপাশি সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'কেন্দ্রের এই সরকার ভোটের আগে যা বলে, ভোটের পরে ঠিক তার উলটো কাজ করে। এই প্রথম নয়, এর আগেও এমনটা করেছে। এটা এদের নীতি হয়ে গিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে।'
পালটা জবাব বিজেপিরযদিও বিরোধীদের এই ধরনের অভিযোগ মানতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, 'পেট্রোল, ডিডেল ও গ্যাসের দাম সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না। তার জন্য আলাদা কমিটি আছে। তারা আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রুড অয়েলে দামের দামের উপর ভিত্তি করে দাম বাড়ায় ও কমায়।'
আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম কত?প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারেও অপরিশোধিত তেলের দামে উত্থানপতন রয়েছে। রবিবারেই আন্তর্জাতিক বাজারে WTI ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৭ ডলার পার হয়ে গিয়েছিল। সোমবার আবার সেই দাম ৮৫ ডলারে নেমে এসেছে। একইসঙ্গে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৮১.৮৬ ডলার।