নতুন প্রজাতির ৬৪১টি প্রাণীর সন্ধান দেশে, দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে বাংলা
এই সময় | ০১ জুলাই ২০২৪
দেশে নতুন ৬৪১টি প্রাণী প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে কেরলের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দ্বিতীয় অ্যানিমাল ট্যাক্সোনমি সামিটের এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য দিলেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। বাংলায় পাওয়া গিয়েছে মোট ৪৯টি নতুন প্রাণীর সন্ধান।বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে জ্যুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জেডএসাই)-র ১০৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস এবং দ্বিতীয় অ্যানিমাল ট্যাক্সোনমি সামিটের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। এদিনের অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বে ভারতই প্রথম যারা দেশে উপস্থিত সব ধরনের প্রাণীর বিভিন্ন প্রজাতির তথ্য নথিভুক্তকরণের কথা ঘোষণা করেছে।
নতুন সমীক্ষা অনুযায়ী ৭৪টি নতুন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান মিলেছে কেরলে। এরপরেই রয়েছে বাংলার স্থান। তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অরুণাচল প্রদেশ। বিভিন্ন প্রজাতির তথ্য দিয়ে একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি প্রজাতির নাম, ছবি ও প্রাপ্তিস্থানেরও উল্লেখ রয়েছে। এই পোর্টালে ১২১টি চেকলিস্টে মোট ১০৪,৫৬১টি প্রজাতির উল্লেখ রয়েছে ৷
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, ‘প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হবে। প্রকৃতির প্রতি যথাযথ মনোযোগ না দিলে অচিরেই জীবজগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে ৷ একটা সময় যদি দেখা যায় সমগ্র প্রাণীকূল, পশু, পাখি, উদ্ভিদ, মাছ সব শেষ হয়ে গিয়ে শুধুই মানুষ আর মানুষ রয়েছে, তখন অবস্থাটা কী হবে ভেবে দেখেছেন ?’ এদিনের অনুষ্ঠানে 'ফনা অফ ইন্ডিয়া-109 বারকোডস', ‘ক্যাটালগ অফ হোবারফ্লাইস’, ‘ক্যাটালগ অফ মুস্যিড’, ‘ফ্লোরা অফ ইন্ডিয়া সিরিজ’ সহ বিভিন্ন প্রকাশনার উদ্বোধন করা হয়।
যে ৬৪১টি প্রজাতির প্রাণী পাওয়া গিয়েছে, এর মধ্যে তিনটি নতুন প্রজাতির প্রাণীর নামকরণ করা হয়েছে জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রথম মহিলা ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। ডলফিলোডেস ধৃতিয়ে (এক ধরণের পোকা), ফিনতেলা ধৃতিয়ে (এক ধরণের মাকড়সা), তালানিমা ধৃতিয়ে (এক ধরণের পোকা)। জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা লাদাখ থেকে নতুন স্তন্যপায়ী প্রজাতি খুঁজে পেয়েছে। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ থেকে পাওয়া গিয়েছে নতুন সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী।