নয়ানজুলি বুজিয়ে হোটেল! বরদাস্ত করবে না বৈদ্যবাটি পুরসভা
এই সময় | ০১ জুলাই ২০২৪
এই সময়, বৈদ্যবাটি: বেআইনি নির্মাণ ও জবরদখল মোকাবিলায় এলাকায় ঘুরে সমীক্ষার কাজ শুরু করল বৈদ্যবাটি পুরসভা। দিল্লি রোডের ধারে নয়ানজুলির উপর তৈরি হয়েছে হোটেল। কিছু হোটেলের কাজ চলছে। এই সব নির্মাণের ফলে জল নিকাশির জন্য সরু পাইপ বসিয়ে তার উপরেই মাটি ফেলে নয়ানজুলি বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে বা হয়েছে। ফলে বাধা পাচ্ছে নিকাশি।রাস্তার পাশে এ ভাবে পূর্ত দপ্তরের জায়গায় বেআইনি দখলদারিতে ভুগতে হচ্ছে বৈদ্যবাটির বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। নিকাশি বেহাল হয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নোডাল ইঞ্জিনিয়ার ও অফিসাররা ১১ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া দিল্লি রোডের পাশের সেইসব এলাকা ঘুরে দেখেন।
শনিবার পরিদর্শনে বেরিয়ে দেখা যায় সরকারি জায়গায় কোনও অনুমতি ছাড়াই একের পর এক হোটেল তৈরি হয়েছে। পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর কৃষ্ণেন্দু কুন্ডু বলেন, ‘বৈদ্যবাটি শহরে দেড় লক্ষ মানুষ বাস করেন। বেআইনি দখলের ফলে নিকাশি বন্ধ হয়ে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। দিল্লি রোড, জিটি রোডের পাশে এ ধরনের দখল অনেক আছে। আমরা সেগুলি চিহ্নিত করছি। যাঁরা বেআইনি দখল করে আছেন, তাঁদের নোটিস দেব। পূর্ত দপ্তরকেও জানাব।’
এক আধিকারিক জানালেন, বর্ষার সময়ে নর্দমা পরিষ্কার করার পরও দেখা যাচ্ছে জল জমে থাকছে। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেল রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে নিকাশি বন্ধ করে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। একটি হোটেলের মালিক সঞ্জু সর্দার মেনে নেন নিয়ম না মেনেই নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পুরসভা থেকে আধিকারিকরা এসে দেখে গিয়েছেন। পূর্ত দপ্তরের জায়গায় হোটেল করেছিলাম। এখন পুরসভা যা বলবে সেটাই করব।’
বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, ‘আধিকারিকদের এই বিষয়গুলিকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা অনেক মৌখিক অভিযোগ পাচ্ছি। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমরাও দেখতে পাচ্ছি এই ধরনের বেআইনি কাজ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন জবরদখল চলবে না। তাই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’