• ‘স্ট্রাইক রেটে’ এগিয়ে তৃণমূল, পাল্টা তত্ত্বও
    আনন্দবাজার | ০১ জুলাই ২০২৪
  • সদ্য টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। খেলার মাঠের স্ট্রাইক রেট নিয়ে আলোচনা এ বার ঢুকে পড়ল রাজনীতির পরিসরেও। আজ তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেসের থেকে তাদের স্ট্রাইক রেট অনেক ভাল। একটি পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, তাঁদের স্ট্রাইক রেট হল ৬২ শতাংশ।

    লোকসভা নির্বাচনে কোনও দল কতগুলি আসনে লড়াই করে কতগুলি আসনে জিতেছে, সেটাকেই স্ট্রাইক রেট হিসাবে দেখছে তৃণমূল। সেই হিসাবে বলা হচ্ছে, বিজেপি ৪৪১টি আসনে লড়ে ২৪০টি আসনে জিতেছে। তাদের স্ট্রাইক রেট হল ৫৪ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেস ৩২৮টি আসনের মধ্যে ৯৯টি আসনে জিতেছে। স্ট্রাইক রেট ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। তুলনায় তৃণমূল কংগ্রেস ৪৭টি আসনে লড়ে জিতেছে ২৯টি আসনে। তাদের স্ট্রাইক রেট ৬২ শতাংশ। মহারাষ্ট্রের শরদ পওয়ারের দল ১২টিতে লড়ে জয় পেয়েছে ৮টিতে। স্ট্রাইক রেট ৬৭ শতাংশ।

    তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে আমাদের একারই স্ট্রাইক রেট হল ৭০ শতাংশ। যদি প্রধান বিরোধী দল (কংগ্রেস)-এর এত খারাপ স্ট্রাইক রেট না হত এবং তারা বারাণসী কেন্দ্র প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে কান দিত, তা হলে কে জানে এত দিনে নরেন্দ্র মোদী আমদাবাদে অবসর জীবন যাপন করতেন!’’

    কংগ্রেস সূত্রের পাল্টা জবাব হল, যে যত বেশি আসনে লড়বে স্বাভাবিক ভাবেই তার স্ট্রাইক রেট কমবে। তৃণমূল ও ডিএমকে পঞ্চাশটি আসনে লড়েছে। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস লড়েছে তিনশোটির বেশি আসনে। স্বাভাবিক ভাবেই দু’দলের গড়ে পার্থক্য হবেই। সে দিক থেকে দেখলে চিরাগ পাসোয়ানের দল বিহারে পাঁচটিতে লড়ে পাঁচটিতেই জিতেছে। তার মানে জাতীয় রাজনীতিতে সেই দলের রাজনৈতিক গুরুত্ব বেশি হয়ে গেল, আদৌ এমনটা নয়। কারণ রাজনৈতিক গুরুত্ব ও স্ট্রাইক রেটের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।

    তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা দাবি এই স্ট্রাইক রেটের গুরুত্ব রয়েছে। কারণ তৃণমূল বারংবার বলছে, দল কোনও জোট ছাড়াই সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করে ২৯টি আসন পেয়েছে। বিজেপি মমতাকে হারানোর জন্য সব ধরনের কৌশল নিয়েছিল, তা সত্ত্বেও গত বারের চেয়ে স্ট্রাইক রেটে উন্নতি হয়েছে তৃণমূলের। আর বিজেপি নেতৃত্বের এ প্রসঙ্গে বক্তব্য, তৃণমূল গলি ক্রিকেটের খেলোয়াড়। আগে তারা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোনও লোকসভা আসন জিতে দেখাক, আগে জাতীয় দলের তকমা ফিরে পাক। তার পরে বিজেপির মতো জাতীয় দলের সঙ্গে পাল্লা দেবে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)