গহবধূর শ্বশুরবাডির বক্তব্য, তাদের বাড়ির বউ রোজই মদ খয়ে মাতলামি করে। স্বামীর শ্রাদ্ধের দিনেও একই অবস্থা। তাই ওই মত্ত গৃহবধূকে তার ভাইয়ের কাছে দিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে, মেয়ের বাড়ির দাবি ডাইনি সন্দেহে মারধর করা হয়েছে ওই গৃহবধূকে। বাড়ি ফিরে ২ দিন জ্ঞান ফেরেনি ওই গৃহবধূর। পরে তার শরীর দেখে চমকে ওঠেন তাঁরা। শরীরে ছুরির আঘাতের চিহ্ন দেখেই তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভার্তি করেন তারা।
এই ঘটনায় গৃহবধুর ভাই ফাঁসিদেওয়া থানায় লিখিত অভিযোগে দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, এর আগেও দিদিকে ডাইনি অপবাদে মারধর করা হয়েছিল। গোটা ঘটনায় মহিলার শ্বশুর বাড়ির ৫ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গেছে। ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানান মহিলার দাদা সহ পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, মহিলার ভাসুর মঙ্গল সরেন বলেন, ডাইনি সন্দেহে মারধর করা হচ্ছে বলে যা রটানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের ফাঁসানোর জন্য এসব বলা হয়েছে। আমি নিজে ওকে ওর বাপের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। তারপর গ্রামের লোক ডেকেছি। তারা ওকে জিজ্ঞাসবাদ করেছে। দারু খাবে কিনা। ও মাথা নাড়ছিল। ও একজনের বউ ছিল। সেই বর একদিন এসেছিল। সে এসে এক বোতল মদ খাইয়ে দিয়েছে। তার পর আরও ওর নেশা কাটছে না। ওর দিদিকে বলেছি। তারা বলছে বাড়ি পৌঁছে দাও নইলে কিছু হয়ে গেলে তোমার নামে মামলা করব।