একুশে রাজ্যের একটি মাত্র আসনে জয়ী হয়েছিল আইএসএফ। কিন্তু, সেই ভাঙড়েই এবার বড়সড় ভাঙন নওশাদ সিদ্দিকির দলের। আইএসএফের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আসমা বিবি যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সোমবার বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার হাত ধরে আসমা বিবি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আসমার পাশাপাশি এদিন পানাপুকুর ১৬৩ নং-এর আইএসএফ বুথ সদস্য আজারউদ্দিন মোল্লাও যোগদান করেন রাজ্যের শাসক দলে।পাশাপাশি চালতাবেড়িয়া ও ভোগালির ১ নম্বর অঞ্চল থেকে কয়েকশো আইএফএফ কর্মী যোগদান করেন তৃণমূলে। ভাঙড়ে দাপুটে আইএসএফ নেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন আসমা। এবার তাঁর তৃণমূলে যোগদান করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন আসমা জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ারে গা ভাসানোর জন্যই তিনি এদিন যোগদান করেছেন তৃণমূলে। এই প্রসঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল আইএসএফ। সংযুক্ত মোর্চা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র একটি আসন পেয়েছিল। আর তা পেয়েছিল আইএসএফ। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে আলাদা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইএসএফ। তবে সেভাবে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি নওশাদ সিদ্দিকির দল।
ভাঙড় অর্থাৎ আইএসএফ-এর জয় করা একমাত্র বিধানসভা কেন্দ্রে দলে ভাঙন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের পরেই ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের কয়েকজন নেতা যোগদান করেন তৃণমূলে। ভাঙড় দু'নম্বর ব্লকের চালতা বেড়িয়া অঞ্চলের আইএসএফের চার জন পঞ্চায়েত সদস্য শওকত মোল্লার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন। শওকত আগেও দাবি করেছিলেন, আগামীদিনে আইএসএফ-এ আরও ভাঙন লক্ষ্য করা যাবে।
নওশাদের দলের প্রাক্তনীদের দাবি, ‘বিজেপিকে ঠেকাতে পারে একমাত্র তৃণমূল। সেই কারণেই তাঁরা যোগদান করছেন।’ উল্লেখ্য, প্রায় দুই বছর বাকি রাজ্য বিধানসভায়। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে কার্যত সবুজ ঝড় উঠেছে। ২৯টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সেখানে বিজেপি জিতেছে মাত্র ১২টি আসনে। কংগ্রেস জয়ী হয় একটি মাত্র আসনে। বাংলার মানুষ ফের শূন্য রেখেছে বামেদের ঝুলি।
বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই সংগঠন মজবুত করছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। এই সময়ে ভাঙড়ে আইএসএফ-এর এই ভাঙন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই ‘বদল’-এর নেপথ্য নায়ক হিসেবে উঠে আসছে শওকত মোল্লার নাম।