রয়েছে ১২টি পুরনো মামলা, চোপড়াকাণ্ডে 'জেসিবি'-কে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ
এই সময় | ০১ জুলাই ২০২৪
চোপড়াকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবিকে সোমবার ইসলামপুরের আদালতে পেশ করা হয়। এদিন তাকে ১০ দিন হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয় পুলিশের তরফে। পরবর্তীতে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জবি থমাস কে জানান, জেসিবির পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। তার বিরুদ্ধে দুটি জামিন অযোগ্য ধারা এবং তিনটি জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে পুলিশের তরফে। জেসিবির বিরুদ্ধে খুন সহ আরও ১২ টি পুরনো মামলা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চুপ থাকতে দেখা গিয়েছে জেসিবিকে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক যুবক এবং যুবতীকে বেধড়ক মারধরের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। জানা গিয়েছে, ওই দৃশ্য চোপড়া ব্লকের। পুলিশ ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। বেত হাতে ওই ব্যক্তি জেসিবি বা তাজিমুল ইসলাম, জানা যায় এমনটাই। জানা যায়, গত ২৮ জুন এলাকায় একটি সালিশি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ওই দুই যুবক-যুবতীকে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বেধড়ক মারধর করে জেসিবি। এলাকায় 'দাদাগিরি করা'-র অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন উপস্থিত থাকলেও এই ঘটনায় কেউ কোনও প্রতিবাদ করেননি।
ভিডিয়োটিতে দেখা যায় (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল), তাজিমুল এক মহিলাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে। তার বাহুর নীচে, পিছনে মারতে মারতে লাঠিটি ভেঙেও যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পর শোরগোল পড়ে যায়। ওই যুবক বা যুবতীর তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
রবিবারই গ্রেফতার করা হয় জেসিবিকে। এর আগে এক বাম কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল তাজিমুলের বিরুদ্ধে। অনেকে দাবি করছেন এই ব্যক্তি রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যদিও চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান জানান, জেসিবি নামক ওই ব্যক্তির সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি দলীয় কোনও পদে নেই। একই কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তাঁর কথায়, ‘তাজিমুলের এই আচরণ কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ঘটনাটি প্রসঙ্গে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’