চোপড়া কাণ্ডে মুখরক্ষায় মরিয়া প্রশাসন, থানার আইসিকে শো কজ, পোস্ট করে জানাল পুলিশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ জুলাই ২০২৪
চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে সালিশি সভায় তৃণমূল নেতা তাজমুল ওরফে জেসিবির হাতে মহিলার মধ্যযুগীয় নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে আইসির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল পুলিশ। ওই ঘটনায় চোপড়ার আইসিকে শো - কজ করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে পোস্ট করে জানানো হয়েছে। সোমবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করলে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশের প্রাথমিক তৎপরতাতেও থামছে না বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, আক্রান্ত মহিলাকে অবমাননাকর মন্তব্য করায় কি চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার সাহস দেখাবে পুলিশ?
পড়তে থাকুন - স্কুলের নবীনবরণে ছাত্রদের জয় শ্রী রাম বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ TMC নেতা শিক্ষকের বিরুদ্ধে
সোমবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখা হয়েছে, চোপড়ায় মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় কিছু লোক রাজনীতির রং লাগানোর অপচেষ্টা করছেন। কিন্তু ঘটনা হল, ঘটনার কথা জানতে পেরেই পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে চিহ্নিত করেছে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। নির্যাতিতাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় চোপড়া থানার আইসিকে শো-কজ করা হয়েছে।
কিন্তু পুলিশের এই তৎপরতায় প্রশ্ন থামছে না। প্রশ্ন উঠছে, এর আগেও তো একই রকম ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল তাজমুল ওরফে জেসিবির বিরুদ্ধে। তখন কেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিল পুলিশ? তবে কি সংবাদমাধ্যমে নির্যাতনের ছবি সম্প্রচারের অপেক্ষা করছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা? তাজমুলের বিরুদ্ধে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের অন্ত নেই। সেসব কি জানা ছিল না পুলিশ আধিকারিকদের? না কি শাসকদলের বিধায়কের হাত মাথায় থাকায় জেনেও না জানার ভান করে বসে ছিল পুলিশ? এছাড়া ওই ঘটনায় কার্যত অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতাকে নিয়ে যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বিধায়ক হামিদুর রহমান, সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করবেন পুলিশ আধিকারিকরা? না কি একজন আইসিকে বলির পাঁঠা করে নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলবে প্রশাসন?