গণপিটুনির ঘটনা এবার তমলুকে, চোর সন্দেহে দুই মহিলা সহ শিশুকে মারধর
এই সময় | ০২ জুলাই ২০২৪
সন্দেহের বসে লাগাতর গণপিটুনির ঘটনা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। হুগলি থেকে ঝাড়গ্রাম একের পর এক জেলায় গণপিটুনির ঘটনার খবর এসেছে গত কয়েকদিনে। এবার ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক। দুই মহিলা সহ এক নাবালিকাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তমলুক থানার পুলিশ।জানা গিয়েছে, তমলুকের নিশ্চিন্তবসান গ্রামের দীপালি বেরার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়িতে চুরি করতে এসে ধরা পড়ে দুই মহিলা সহ এক বাচ্চা। দিপালী বেরার অভিযোগ, দুপুরবেলা তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। সেই সময় তিনজন তাঁর বাড়িতে আসে ভিক্ষার নাম করে। তিনি সেই সময় ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি দেখেন, দুইজন তাঁর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি যখন সেই দুজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন দেখেন আরেকজন বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে।
এরপরেই ওই মহিলা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। চিৎকারের কারণে পাড়ার লোকজন জমায়েত হয়ে যায়। তিনজনকেই ধরে ফেলে প্রতিবেশীরা। দুই মহিলার হাত পিছমোড়া করে বেঁধে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই দুজনকে ব্যাপক মারধর শুরু করা হয়। মারধরের ফলে তারা স্বীকার করে গয়নার ব্যাগ কোথায় রেখেছে। গয়নার ব্যাগ পাওয়ার পরে পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ ঘটনার চলে আসে এবং তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে তমলুক থানার পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ওই মহিলারা দল বেঁধে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। তারা চৌর্যবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত কিনা, সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এমনকি, ওই মহিলাদের দলের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কিনা সেটাও ঘেঁটে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে লাগাতর গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন জেলায়। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ার গমুকপাটি এলাকায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটে৷ মনসা পুজোয় মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গ্রামবাসীদের একাংশ আশিস দলুই নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই যুবক৷ এরপর প্রথমে ওই যুবককে পাণ্ডুয়ায় এবং পরে চুঁচুড়়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখান থেকে কল্যাণীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় ওই যুবককে৷ পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার তাঁকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল৷ কলকাতায় নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।