বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে নাম জড়িয়েছিল জেসিবি'র! জুটেছিল মারও?
এই সময় | ০২ জুলাই ২০২৪
বিবাহ বর্হিভূত প্রেম! আর এর জেরেই নাকি রাস্তায় ফেলে তুমুল মারধর করে এক যুবক এবং যুবতীকে 'উচিত শিক্ষা' দেওয়ার 'গুরুদায়িত্ব' নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল চোপড়াকাণ্ডে অভিযুক্ত তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি। তবে টনটনে ‘নীতিবাগীশ’ জেসিবিও একদিন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল? শুধু তাই নয়, তাকেও একই ভাবে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় দাপুটে কংগ্রেস নেতা অশোক রায়। সেই সময়ও কেউ প্রতিবাদ করেনি বলে দাবি করেছেন তিনি।সম্প্রতি চোপড়ার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক এবং যুবতীকে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারছে এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে জানা যায়, লাঠি হাতে ওই ব্যক্তির নাম তাজিমুল। এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ডাকা সালিশি সভায় এক যুবক ও যুবতীকে মারধরের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে তাজিমুল ওরফে জেসিবি। সোমবার তাকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও একাধিক খুনের মামলা রয়েছে অভিযুক্ত জেসিবি-র বিরুদ্ধে। এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত সে।
এই ভিডিয়োর মাঝেই সোমবার নতুন করে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে আরও এক নারী এবং পুরুষকে একইরকমভাবে পেটাতে দেখা গিয়েছে জেসিবিকে (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল)।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এলাকায় কোনও ঘটনা ঘটলেই নিজেকে 'হুজ হু' বানিয়ে 'বিচার' করতে বসত জেসিবি। কিন্তু, এই 'নীতিবান' পুরুষই একদিন পরস্ত্রীর সঙ্গে প্রেম করতে গিয়ে খেয়েছিল মার? অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা অশোক রায়। তিনি বলেন, 'আপনারা শুনলে অবাক হবেন, আজ যে জেসিবি বিচার করছে সেই এক সময় পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়ে। সেই সময় এলাকার এক ব্যক্তি সমিরুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সময়টা সম্ভবত ২০২৩। সমিরুলের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ধরা পড়েছিল জেসিবি। সেই সময়ও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি।'
পাশাপাশি অশোকবাবু বলেন, 'থানায় কে অভিযোগ করতে যাবে? ওই ঘটনার পর সমিরুলের দাদা ভয়ে দিল্লি পালিয়ে যান। তিনি সেই সময় দাবি করেছিলেন এখানে থাকলে তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন। লক্ষ্মীপুরে এর থেকে বড় বড় ঘটনা ঘটে চলেছে, সাধারণ মানুষ ভয়ে কিছু বলতে পারেন না।'
উল্লেখ্য, এই জেসিবির সঙ্গে যে দলের কোনও সম্পর্ক নেই এবং সে দলের কোনও পদে নেই এমনটাই স্পষ্ট জানানো হয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের তরফে।