• নতুন ফৌজিদারি আইন চালু দেশে, কলকাতায় দায়ের প্রথম অভিযোগ কোনটি?
    এই সময় | ০২ জুলাই ২০২৪
  • সোমবার, ১ জুলাই থেকেই গোটা দেশে চালু হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-সহ নতুন তিন ফৌজদারি আইন। কলকাতায় নতুন আইনে প্রথম মামলা দায়ের হল বাঁশদ্রোণি থানায়। পুরনো আইন অনুযায়ী ৪২০ অর্থাৎ প্রতারণার অভিযোগ দায়ের নতুন ধারায় ৩১৮ (৪) ধারায়।সোমবার বাঁশদ্রোণি থানায় প্রতারণার অভিযোগে ৩১৮ (৪) ধারায় ওই মামলাটি দায়ের করেছেন এক মহিলা। এই ৩১৮ ধারা আগে ছিল ৪২০ অর্থাৎ যেটি প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা হত। ওই মহিলার অভিযোগ করেন, সরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক সেজে তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার প্রতারণা করেছেন এক ব্যক্তি।

    ওই মহিলার অভিযোগ, সরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক সেজে এক ব্যক্তি ভুয়ো এফডি (স্থায়ী আমানত) শংসাপত্র তৈরি করেছিলেন। সেই ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়েই মহিলার কাছ থেকে আর্থিক প্রতারণা করা হয়েছে। দফায় দফায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এরপর এফডি মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি ফেরার হয়ে যান বলে অভিযোগ। ভারতীয় নতুন ন্যায় সংহিতা আইন অনুযায়ী ৩১৮ (৪)-সহ ৬১ (২)(এ), ২০৪, ৩১৬ (২), ৩৩৬ (৩), ৩৩৮, ৩৪০ (২) ধারায় মামলা দায়ের হয়।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩, ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম ২০২৩ এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩ এই তিনটি নতুন আইন সোমবার থেকেই চালু গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার নতুন আইনের ধারা দিয়ে কলকাতা পুলিশ প্রায় ২০০টি কেস করেছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। যদিও, নতুন তিন ফৌজদারি আইন হওয়ার পর সোমবার দেশে প্রথম এফআইআর হয়েছে দিল্লিতে। দিল্লি রেল স্টেশনের কাছে এক জল বিক্রেতার বিরুদ্ধে গুটখা বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় নতুন ক্রিমিনাল কোডের ২৮৫ ধারায় এফআইআর রুজু হয় মামলা।

    নতুন তিন ফৌজদারি আইন দেশজুড়ে কার্যকর হওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, নতুন এই তিন আইন ‘শাস্তি’র বদলে ‘ন্যায়বিচার’ দেবে মানুষকে। ব্রিটিশ আমলের বেশ কিছু সেকশন নতুন আইন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও, এই আইন নিয়ম অনুযায়ী চালু করা হয়নি বলেই দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। সংসদে এই তিনটি আইন নিয়ে পুনরায় আলোচনা করার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
  • Link to this news (এই সময়)