আবারও শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এবার ধাপার মাঠপুকুর এলাকায় একটি কারখানায় লেগেছে আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয়েছে আগুন নেভানোর কাজ। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ধাপার মাঠপুকুর এলাকার একটি মবিলের কারখানায় আগুন লাগে। বেলা ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ আগুন নজরে এসেছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। গলগল করে বেরোতে থাকে কালো ধোঁয়া। খবর যায় দমকলের কাছে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। ভিতরে প্রচুর দাহ্য বস্তু রয়েছে বয়েছে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘন জনবসতিপূর্ণ হওয়ার আগুন পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধোঁয়ার পরিমাণ এতটাই বেশি যে ওই জায়গায় কাজ করতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। কারও কারও মধ্যে শ্বাসকষ্টও দেখা গিয়েছে। ওই কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
কিছুদিন আগে শহরের অন্যতম জনপ্রিয় মল অ্যাক্রোপলিসের চারতলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে যায়। সেখানেও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা মলজুড়ে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও। স্থানীয়দের কারও কারও দাবি, আগুন লাগার পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলিতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া চলায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে বলে খবর।
ঘটনায় জানা যায়, মলের ফুড কোর্টের একটি জায়গায় আগুন লাগে। গলগল করে বের হতে থাকে ধোঁয়া। কিছুক্ষণের মধ্যেই ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা চত্বর। একইসঙ্গে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা মলে। যদিও নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত কর্মী এবং সেখানে সাধারণ মানুষকে মল থেকে বের করে নিয়ে আসেন। যদিও অনেকেই অভিযোগ করেন, ইমারজেন্সি ফায়ার এক্সিট পরিষ্কার ছিল না। ফলে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।