সালিশি সভায় বধূকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ, অপমানে আত্মঘাতী
এই সময় | ০২ জুলাই ২০২৪
সালিশি সভায় বধূকে মারধরের অভিযোগ। আর সেই অপমানেই ওই বধূ আত্মঘাতী হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি ১-এর বকরাভিটা এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই বধূ। যার ফলে স্বামী ও দুই সন্তানকে রেখে বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। কিছুদিন পর ফিরে এসে ফের সংসার করতে চাইলে বসানো হয় সালিশি সভা। আর সেই সালিশি সভাতেই বধূকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যার জের অপমানে আত্মঘাতী হন ওই বধূ। স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে ওই মহিলা স্বামী তাপস বর্মণকে ছেড়ে অন্য এক যুবকের সঙ্গে চলে যান। ৮ দিন পর আবার ফিরেও আসেন। ফিরে এসে সংসার করতে চাইলেও মহিলাকে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। এরপরেই বসে সালিশি সভা।
এই বিষয়ে মহিলার স্বামী তাপস বর্মণ জানান, তাঁর স্ত্রী ৮ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। এক যুবকের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু এলাকার কয়েকজন নিজেরাই সালিশি সভা বসায়। সেই সালিশি সভাতেই তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। টানা দু'ঘন্টা মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। 'জুতোপেটা' করার পাশাপাশি চুলের মুঠি ধরেও মারধর করা হয় তাঁকে। এরপরেই শনিবার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন মহিলা। যদিও এই ঘটনায় এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মালতি রায়ের স্বামী শম্ভু রায় বলেন, 'আমি বা আমার স্ত্রী কেউই ঘটনার সময় ছিলাম না।'
ঘটনায় ইতিমধ্যেই এনজেপি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে। এই বিষয়ে ডিসিপি দীপক সরকার বলেন, 'ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।' এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকেই বকরাভিটা এলাকায় বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনজেপি থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরে এক সালিশি সভায় যুগলকে মারধরের ভিডিয়োও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিয়োকে ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় বিভিন্নমহলে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর সেই ঘটনার মাঝেই উঠে এল আরও এক সালিশি সভায় মারধরের অভিযোগ।