• বিধি মানছে কি টোটো, দেখতে পুর-অভিযান
    আনন্দবাজার | ০২ জুলাই ২০২৪
  • শহরের পথে চলা টোটো নিয়ন্ত্রণে ফের অভিযানে নামবে পুরুলিয়া পুরসভা। মূলত সরকারি বিধি-নিয়ম মেনে টোটো চলাচল করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। সোমবার পুরসভার তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশ ও পুরসভার যৌথ বৈঠকের পরে টোটো অভিযানে নামা হবে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি।

    রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা ও পুরনিগমের প্রধানদের সঙ্গে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরে পুরুলিয়াতেও স্টেশন বাজার এলাকার ব্যবসায়ীদের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পুরসভার তরফে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। শহরের আরও কিছু এলাকা, যেখানে রাস্তার উপরে বাজার রয়েছে, সেখানেও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে বলে পুরপ্রধান জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি, টোটোর জেরে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দিনের ব্যস্ত সময়ে যানজট লেগে থাকে বলে বিভিন্ন তরফে অভিযোগ উঠেছে। শহরের রাস্তায় বেআইনি টোটোর দাপট রুখতে গত বছরের নভেম্বরে অভিযানে নামে পুরসভা। নম্বরবিহীন বেশ কিছু টোটো আটক করা হয়। পুরপ্রধান এ দিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে। শহরে সেই নির্দেশমতো পদক্ষেপ হবে। পাশাপাশি, দিনের ব্যস্ত সময়ে টোটোর জন্য যানজটের অভিযোগ রয়েছে। আমরা ফের এ নিয়ে রাস্তায় নামব।”

    ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকের পর দিনই পুরুলিয়া স্টেশন-রাধাকৃষ্ণ মোড়গামী রাস্তায় ডাকবাংলোর কাছে রাস্তার উপরে গড়ে ওঠা টোটোস্ট্যান্ডটি সরিয়ে দেন পুরপ্রধান। ডাকবাংলোর মাঠে টোটোগুলিকে দাঁড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, দু’হাজারের কিছু বেশি টোটোর পুরসভার রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। সেখানে খোদ পুরপ্রধানের স্বীকারোক্তি, শহরের রাস্তায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি টোটো চলছে। করোনার সময়ে জোড়-বিজোড় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ধরে এক দিন করে টোটো চলাচল চালু হয়েছিল। তবে পরবর্তী কালে তা বজায় থাকেনি। এখন শহরে টোটোর সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেড়েছে।

    পুরসভা সূত্রের খবর, ফের নম্বরবিহীন টোটোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। টোটো দূষণহীন যান বলে দূষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্র লাগে না। কিন্তু কোনও টোটো রাস্তায় নামলে বিমা সংক্রান্ত নথি, কর, ফিটনেস সংক্রান্ত নথি, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও জরুরি। সে সবের পাশাপাশি টোটোর রেজিস্ট্রেশনের নথি ঠিকঠাক রয়েছে কি না, অভিযানে খতিয়ে দেখা হবে।

    টোটো চালকদের তরফে নেপাল পাণ্ডে বলেন, “এটা ঠিক যে বর্তমানে শহরের পথে চলা অনেক টোটোরই রেজিস্ট্রেশন নেই। পুরসভার ছাড়পত্র রয়েছে হাজার দুয়েক টোটোর। অথচ চলছে তার দ্বিগুণের বেশি টোটো। পুরসভা বা প্রশাসন কী চাইছে, আমাদের জানাক। আমরাও আইন মেনে চলতে চাই।”

  • Link to this news (আনন্দবাজার)