রবিবার দুপুরেই তৃণমূলের চোপড়ার নেতা তাজিমুল ওরফে জেসিবির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায় এক তরুণীকে রাস্তার মধ্যে ফেলে এক ছড়া কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন জেসিবি। তবে সোমবার ওই নির্যাতিতা তরুণী দাবি করেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া মারধরের ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল করা হয়েছে। ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ায় তাঁর সম্মানহানিও হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, হুমকির মুখে পড়েই নিজের বয়ান বদলেছেন ওই নির্যাতিতা।
এ প্রসঙ্গে চোপড়ার কংগ্রেস সভাপতি মাসিরুদ্দিন বলেন, ‘‘আগে দড়ি দিয়ে বেঁধে যাঁদের মারধর করা হয়েছিল, রাতে তাঁদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। জেসিবির এক ভাই গির আলম এই কাজ করছে। ও মানুষজনকে ধমকাচ্ছে। জেসিবি, গির আলম, মেহবুব এখানকার ত্রাস। ওদের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে।’’ লক্ষ্মীপুরের যে তরুণীর উপর নির্যাতন হয়েছে, তাঁকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন মাসিরুদ্দিন।
অন্য দিকে, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘কেউ কাউকে ভয় দেখাচ্ছে না। কাউকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। নির্যাতিতা যদি মনে করেন যে ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ায় তাঁর সম্মানহানি হচ্ছে, তা হলে তা সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।’’