রাজভবন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে বিমানে সরাসরি বাগডোগরা আসবেন। সেখান থেকেই সড়কপথে যাবেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। সেখানে নির্যাতিত যুগলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই বাগডোগরা থেকে বিমানে দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যপালের। রাজ্যপালের সফর নিয়ে আশাবাদী নয় কংগ্রেস। স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘রাজ্যপাল আসছেন ঠিক আছে। অনেকগুলি ঘটনাতেই তিনি এসেছেন। তবে কিছু হয়নি। রাজ্যপালের তরফ থেকে মানুষ সে ভাবে স্বস্তি পায় না।’’
চোপড়ায় তৃণমূল নেতা তাজিমুল হক ওরফে ‘জেসিবি’র বিরুদ্ধে এক তরুণ-তরুণীকে নিগ্রহের ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি (ওই ভিডিয়োটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি ) । গোটা ঘটনা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, অভিযুক্ত তাজিমুল তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ‘ঘনিষ্ঠ’। দিল্লিতে বসেই চোপড়াকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিলেন বাংলার রাজ্যপাল। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। শুধু চোপড়াকাণ্ড নয়, রাজ্যে একের পর এক ঘটে চলা গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি।
রাজ্যপাল বলেন, ‘‘রাজ্যে হিংসার ধারা অব্যাহত। বাংলার রাস্তায় রক্তের বন্যা। গুরুদেবের নিজের ভূমিতে এ রকম হচ্ছে, যা দুর্ভাগ্যজনক, বেদনাদায়ক।’’ এর পর তিনি পুলিশ এবং পুলিশমন্ত্রীকেও তোপ দেগেছেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নাম করে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এত মানুষের সামনে এক জন মহিলাকে মারধর করা হল। কেউ প্রতিবাদ করলেন না! সেখানে কি পুলিশ রয়েছে? লোকজন জিজ্ঞেস করছেন, কে পুলিশ আর কে চোর? পুলিশবাহিনীর কিছু অংশের মধ্যে অপরাধ চলছে। কিছু আইপিএস অফিসার রাজনৈতিক প্রভুর হয়ে কাজ করছেন। পুলিশমন্ত্রী তাঁর কাজ করছেন না।’’ বাংলায় ‘জঙ্গলরাজ’ চলছে বলেও দাবি করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গল এর থেকে ভাল। কারণ, জঙ্গলে কাউকে রোমাঞ্চের জন্য মারা হয় না। এখানে তাই হচ্ছে। এটা চলবে না। এটা বন্ধ করতে হবে।’’ তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আশ্বাসও দিয়েছেন।