• গণপিটুনিতে মৃতদের পরিবারকে চাকরি ও আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা রাজ্যের
    এই সময় | ০২ জুলাই ২০২৪
  • সাম্প্রতিককালে রাজ্যে ঘটে গিয়েছে একের পর এক 'গণপিটুনি' ও মারধরের ঘটনা। অনেকগুলি ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বেশকয়েকটি ক্ষেত্রে ধরপাকড়ও করেছে পুলিশ। আর এবার সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য এবং ১টি করে স্পেশ্যাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।আর্থিক সাহায্য ও চাকরির ঘোষণাএই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার কথা সরকারের গোচরে এসেছে। সেই সূত্রে পুলিশকে সর্বাধিক সতর্কতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে এবং কড়া আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। মানুষকেও জাগ্রত ও সতর্ক থাকতে হবে। ঘটনাগুলি দুঃখজনক এবং আমাদের সকলেরই সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে। এই ধরনের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য কোনও ক্ষতিপূরণই যথেষ্ট নয়। তারপরেও অর্থনৈতিক সহায়তার লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে একটি করে স্পেশ্যাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। এছাড়া পরিবার পিছু ২ লাখ করে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া হবে।'

    পুলিশকে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশসাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা। তিনি বলেন, 'আমাদের যত পুলিশ ইউনিট আছে পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনার সহ, সবাইকে নির্দিষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কেউ আইন ভাঙতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া ২০১৮-১৯ সালে যে গাইড লাইন দেওয়া হয়েছিল সেগুলিরই পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি, নজরদারি বৃদ্ধি ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।' সাম্প্রতিককালে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, সেগুলির উপরে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বারাসতের কাজিপাড়ার এক নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়ায় ছেলেধরার 'গুজব'। সেই ঘটনার পর বারাসত ও সংলগ্ন এলাকায় ঘটে একের পর এক শিশুচোর সন্দেহে 'গণপিটুনি'র ঘটনা। পরবর্তীতে চোর সন্দেহে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে শহর কলকাতা ও জেলায়। এছাড়াও ঘটে গিয়েছে বেশকিছু মারধরের ঘটনা। কয়েকজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে নিহতদের পরিবার। একের পর এক এই ধরনের ঘটনা, উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিভিন্নমহলে। আর এবার আরও কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত পুলিশের।
  • Link to this news (এই সময়)