হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর আরাবুলের, জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ
এই সময় | ০২ জুলাই ২০২৪
জামিন মঞ্জুর হল ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জামিন মঞ্জুর ভাঙড়ের এই তৃণমূল নেতার। ভাঙ্গরের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ। জেল থেকে তাঁকে মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে লাগাতর উত্তেজনা ছড়া ভাঙড়ে। ঘটে যায় একের পর এক সংঘর্ষ ও রক্তপাতের খবর। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে খুন হন মইনুদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ কর্মী। সেই ঘটনাতে নাম জড়ায় তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলামের। খুনের অভিযোগ ছাড়াও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর সেই সমস্ত অভিযোগেই আরাবুলকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ।
আরাবুল ইসলামের নামে মোট ক'টি মামলা রয়েছে, কলকাতা পুলিশের কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। কিন্তু সেই উত্তর পাওয়া যায়নি বলে দাবি করে, উচ্চআদালতের দ্বারস্থ হন আরাবুল। একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তিনি। এদিন তাঁর জামিন মঞ্জুর করল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকবার হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন তিনি। তবে এবার তা মঞ্জুর হল। তাঁকে জেল থেকে মুক্তিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভাঙড়ের তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার হওয়ায় গোটা নির্বাচনী পর্বে জেলেই থাকতে হয় তাঁকে। অবশেষে জামিন মঞ্জুর হল তাঁরা। তবে জামিন দিলেও এক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশের পর তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা বলেন, 'বিষয়টি এখনও বিচারাধীন।' অন্যদিকে আদালতের নির্দেশেকে স্বাগত জানান আরাবুলের ছেলে হাকিমুল ইসলাম।
এদিকে জেলে যাওয়ার আগে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন আরাবুল। কিন্তু তিনি জেলবন্দি থাকায় সমিতির কাজকর্ম শিকেয় ওঠার জোগাড় হয়েছিল। পঞ্চায়েত সমিতির সভা পরিচালনার ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছিল জটিলতা। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সহসভাপতি সোনালি বাছাড়কে। গত মাসে ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেলার অপর এক নেতা তথা বিধায়ক সওকত মোল্লা। সেই বৈঠকের পরেই সওকত জানান, সভাপতি দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকায় পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। আর সেই কারণেই সহসভাপতিকে সভাপতির চার্জ দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে জেল থেকে মুক্তির পর নিজের দায়িত্ব আরাবুল ফিরে পান কি না, সেদিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিকমহলের।