জরিমানার অর্থ হাইকোর্ট কাজে লাগাবে কী ভাবে? বিশেষ নির্দেশ বিচারপতির
এই সময় | ০২ জুলাই ২০২৪
কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আবেদনকারী। হাইকোর্টের সময় নষ্ট হয়েছে বলে জরিমানা করা হয় সেই আবেদনকারীকে। জরিমানা দিয়ে কী করা হবে? বিশেষ নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।জরিমানার টাকা হাইকোর্ট চত্বরে বৃক্ষরোপণের কাজে ব্যবহারের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্যকে নির্দেশ দেন, ওই টাকা হাইকোর্ট চত্বরে বড় গাছ লাগানোর কাজে ব্যবহার করতে হবে। এই ব্যাপারে বন দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দায়িত্ব দিতে হবে।
আদালতের মৌখিক নির্দেশ, কোনো ফুলের গাছ বা পাতাবাহার গাছ নয়, বড় গাছ লাগাতে হবে। আর এই টাকা ওই কাজে ব্যবহার করে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট আদালতে জমা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে একটি মামলায় জরিমানার টাকা হাইকোর্টের মহিলা শৌচালয়ের নির্মাণে ব্যবহারের নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা।
ভাঙরের একটি মামলা বেশ কিছুদিন চালানোর পর তুলে নেওয়ার আবেদন করায় এদিন আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। সেই টাকায় বৃক্ষরোপণের নির্দেশ।
মূলত, ভাঙরের তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা করেও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এক আবেদনকারী। মামলা দায়ের করার পরেও তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণে এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছে আদালত। মঙ্গলবার এই কারণে ওই মামলাকারীকে জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই জরিমানার টাকা আদালত কাজে লাগাতে চাইছে বৃক্ষরোপণের কাজে। মামলাকারীকে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্ট প্রতিদিন একগুচ্ছ কেস দায়ের করা হয়। বেশ কিছু মামলা কিছুদিন চলার পর প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এমনিতেই, একাধিক মামলা দায়ের হওয়ার কারণে একাধিক মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় কোর্ট।
সেই পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট একটি মামলা দায়ের করার পরেও মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণে আদালতের অনেকটা সময় নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেছে আদালত। আদালতের এভাবে সময় নষ্ট করার অধিকার নেই। সেই কারণেই ওই ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা আদালতের কোষাগারে জমা পড়বে। সেই টাকা কী ভাবে খরচ করা হবে, সেই বিষয় নিয়ে এই বিশেষ নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।