চোপড়ায় না গিয়েই শিলিগুড়ি থেকেই মমতাকে তোপ দেগে ফিরলেন রাজ্যপাল, কী বললেন MLA?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ জুলাই ২০২৪
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় এক মহিলা ও এক যুবককে সালিশির নাম করে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের তাজিমুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে সেই ঘটনায় খোঁজখবর নিতে চোপড়ায় যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। কিন্তু চোপড়াতে না গিয়েই শিলিগুড়ি থেকেই ফিরলেন রাজ্যপাল।
শিলিগুড়ির স্টেট গেস্ট হাউস থেকেই তিনি ফিরে যান। তবে সকালে বিমানবন্দর থেকে নেমে তিনি কোচবিহারের নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু চোপড়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন তিনি। সূত্রের খবর, চোপড়ায় নির্যাতিতা বা তার পরিবার মুখ খুলতে নারাজ এই কথা সামনে আসার পরেই রাজ্যপাল আর চোপড়া যেতে চাননি বলে খবর।
তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজ্যপাল চোপড়ায় এলে কালো পতাকার মুখোমুখি হতে হত তাঁকে। তবে কি সেজন্যই এলেন না তিনি?
রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজভবনের দরজা সবসময় খোলা। তিনি আসতে পারেন। তবে অপর যে নির্যাতিতা আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তার সঙ্গে কথা বলে আমার যেটা অভিজ্ঞতা সেটা হল মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা নারীদের থাকার পক্ষে নিরাপদ নয়।
সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের রাস্তা খোঁজা হচ্ছে। মুখ্য়মন্ত্রীর দায়িত্ব হল আমাকে রিপোর্ট দেওয়া। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। সরকার হিংসাকে স্পনসর করছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের।
মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর মানহানির মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি মানহানির মামলা করেছি।
এদিকে চোপড়াতে রাজ্যপালের না যাওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিধায়ক হামিদুর রহমান বলেন, আমরা তো স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আসলেন না। এলে তো আসল তথ্যটা সামনে আসত। তবে তিনি আসেননি সেটা তাঁর ব্যাপার। জেসিবির সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভালো সম্পর্ক বলতে কী বলছেন। আমি তো ওর বাড়িতে গিয়ে হাল চাষ করি না। আইনি ব্যবস্থা যা হচ্ছে হোক। জেসিবি যা ভুল করছে তার শাস্তি হবে। আমি বলেছি মুসলিম কাস্ট হিসাবে ওরা বসেছিল। আপনারা মুসলিম রাষ্ট্র বলে উল্লেখ করলেন। এটা নিয়ে গোটা দুনিয়া জুড়ে তোলপাড় করে দিলেন। আমি তো বলছি ওটা দুঃখজনক ঘটনা। ভুলের শাস্তি তো ও পাবেই। রাজ্যপাল আসতে পারেন বলে শুনেছিলাম। রাজ্যপাল এখানে এলে ভালো হত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন। আমি বলে দিয়েছি, দুঃখপ্রকাশ করেছি।