• আমার ভিডিয়ো ভাইরাল করে অপমান করলেন কেন? থানায় গেলেন চোপড়ার নির্যাতিতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ জুলাই ২০২৪
  • একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দেখা যায় এক তরুণী ও এক যুবককে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারছে এক যুবক। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এদিকে ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়ো। গ্রেফতার হয় চোপড়ার তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি। চোপড়ার ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। 

    এদিকে গোটা দেশ যখন শিউরে উঠছে এই ভিডিয়ো দেখে, আন্দোলনে নামছে বিরোধীরা তখনই এনিয়ে মুখ খুললেন ওই নির্যাতিতা। তাঁর একটি ভিডিয়ো সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। 

    সেখানে ওই মহিলাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমার যে ভিডিয়োটি ভাইরাল করেছে, আমি জানি না কে বা কারা ভাইরাল করেছে। থানায় আমি অভিযোগ জানিয়েছি। লিখিত দিয়েছি। আমার মান সম্মান নষ্ট করেছে। আমার অনুমতি ছাড়া ভিডিয়োটি ভাইরাল করেছে। ওই ভাইরালকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় জানিয়েছি। ওই ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হোক। পুলিশকে অনুরোধ করেছি। পুলিশের উপর আমার আস্থা আর ভরসা আছে। পুলিশকে অনুরোধ করছি যে ভাইরাল করল তাকে শাস্তি দেওয়া হোক। ’

    মূলত দুটি প্রসঙ্গ তিনি উল্লেখ করেছেন। প্রথমত ভিডিয়ো ভাইরাল করা নিয়ে তার আপত্তি। দ্বিতীয়ত পুলিশের উপর তাঁর আস্থা। এখানেই সন্দেশখালির সঙ্গে ফারাক চোপড়ার। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ আসলে এলাকায় এতটাই দাপট তৃণমূলের। লক্ষ্মীপুরেই থাকতে হবে ওই মহিলাকে। সেক্ষেত্রে শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুললে বিপদ বাড়তে পারে। সেজন্যই কি এবার ভিডিয়ো ভাইরাল নিয়ে আপত্তি তুলছেন তিনি? 

    ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমান বলেছিলেন, ‘এটা তো অন্যায় আমরা সবাই বলছি রে ভাই। আরে অন্যায় তো মেয়েটাও করেছে না? নিজের স্বামী, ছেলে - মেয়ে বাদ দিয়ে ও দুশ্চরিত্রবান হয়েছে। এখন আমাদের মুসলিম রাষ্ট্রে সামাজিক আচার – বিচার হয়েই থাকে। বিচারটা যে ভাবে হওয়ার কথা ছিল তা না হয়ে বেশি বেশি হয়ে গেছে। এটা নিয়ে আমরাও ওখানকার গ্রামবাসীদের বকাবকি করছি। আইনি যা ব্যবস্থা হয় সেটা করবে।’

    বিধায়ক বলেছিলেন, ‘মহিলাটা তো কমপ্লেন করেনি। আপনারা বেশি বেশি খোঁচায় খোঁচায় বাড়াচ্ছেন। কারণ মহিলাটা স্বামী ছাড়া অসামাজিক কাজ করছিল। অসামাজিক কাজে গ্রাম্য সালিশি বৈঠক বসেছিল। গ্রাম্য বৈঠকে একটা বিচার আচার করেছে। কিছুটা ভুল হয়েছে আমরাও অস্বীকার করছি না। কিন্তু মেয়েটা তো কোনও অভিযোগ করতে যায়নি। মেয়েটার স্বামী কোনও অভিযোগ করেনি। কোনও জবরদোস্তি কিছু কিছু হয়নি। সমাজকে খারাপ করছিল গ্রাম্য সালিশ বসে তার একটা বিচার করেছে।’

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে. বাম আমলেও চোপড়াতে বাম আশ্রিত বাহুবলীদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস ছিল না কারো। তৃণমূল জমানাতে তার কোনও অন্যথা হয়নি। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)