• জমি বিবাদের জের, দাদার হাতে মর্মান্তিক পরিণতি ভাইয়ের...
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ জুলাই ২০২৪
  • শ্রীকান্ত ঠাকুর: পারিবারিক বিবাদের ও জমি সংক্রান্ত বিবাদ। তার জেরে দাদার হাতে খুন ভাই। ঘটনাটি ঘটে কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবর্ত্তা গ্রামে। সোমবার গভীর রাতে জটু বর্মন নামে ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। জানা গিয়েছে, লোহার শাবল ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করার ফলে তাঁর একটি পা ভেঙে দেওয়া হয়।  

    যার জন্য প্রথমে কুমারগঞ্জ বরাহার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের অনুমান, বুকে বা পিঠে ভারী কোন বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। 

    মঙ্গলবার এনিয়ে মৌখিক ভাবে কুমারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই অভিযুক্তরা পলাতক। এদিন দুপুরে ওই এলাকায় যায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিস। এদিন দেড়টার সময় বালুরঘাট থানা পুলিস দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল পাঠায় পুলিস। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। 

    জটু বর্মনের ছেলে সনাতন বর্মন দাবি করেছেন, 'কালীপদ বর্মন আমার জ্যেঠু ও তার ছেলে সুজন বর্মন জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই বাবার সঙ্গে অশান্তি করত। আমি বাড়িতে থাকলে গায়ে হাত দিত না। আমি বাড়ির বাইরে থাকলে বাবাকে ওরা নিয়ে গিয়ে মাঝে মাঝেই মারধর করত। একাধিক বার এরকম ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে জমিতে চাষ দেওয়ার জন্য ট্রাক্টর  নিয়ে যেতে গেলে ওরা বাধা দেয়। তারপরেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। ওই সময় আমি  বাড়িতেই ছিলাম। বাবাকে ওরা ডেকে নিয়ে যায় এবং বাড়ির সামনেই আমার জেঠুর পুরো পরিবারের লোকজন বাবার উপর চড়াও হয় এবং মারধর করতে শুরু করে। কোনও মতে আমি বাবাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি এবং চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই বরাহার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসা জন্য বালুরঘাটে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বালুরঘাটে হাসপাতালে বাবার মৃত্যু হয়েছে আমি দোষীদের ফাঁসির সাজা দাবি করছি।'

    পুলিস সূত্রের খবর অভিযুক্তদের সকলেই নিখোঁজ। বাড়িতে তালা দিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় কালিপদ বর্মন ও তার পরিবার। জটু বর্মনের মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নামে পরিবারে।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)