• পাওনাদারের সহানুভূতি আদায়ে নিজেকেই গুলি ব্যবসায়ীর! মগরাহাট কাণ্ডে হতবাক পুলিশ
    প্রতিদিন | ০৩ জুলাই ২০২৪
  • সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মগরাহাট গুলি কাণ্ড সাজানো। গোটা ঘটনার পরিকল্পনা ছিল গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর! পুলিশি জেরায় নিজেই তা স্বীকার করে নিলেন তিনি। কিন্তু কেন? কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পাওনাদারের চাপ ও সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা।

    ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার বাসিন্দা অশোক ছাঁটুই মগরাহাটের দিঘিরপাড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর হাতে গুলি লাগে। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ব্যবসায়ীকে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির দাবি ছিল, মোটরবাইকে চড়ে দুষ্কৃতীরা তাঁর কাছে থাকা ব্যাগ থেকে সাত লক্ষ টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয়। বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। নড়েচড়ে বসে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুন কুমার দে তদন্তে নামেন। তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তদন্তকারী আধিকারিকরা কথা বলেন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে।

    এর পরই পুলিশ জানতে পারে অন্য তথ্য। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার রাহুল গোস্বামী জানিয়েছেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন অশোক ছাঁটুই। চাকরি দিতে না পারায় বেশ কিছুদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা অশোক ছাঁটুইয়ের কাছে টাকা ফেরত চেয়ে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরত দিতে না পারায় মিথ্যে ছিনতাইয়ের গল্প ফাঁদেন ব্যবসায়ী। সহযোগিতা করেন  গোবিন্দ নস্কর নামে একজন। তিনিও চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন। গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী গোবিন্দকে আশ্বাস দেন সহযোগিতা করলে টাকা ফেরত দেওয়ার। এর পরই প্ল্যানমাফিক নিজেই নিজের হাতে গুলি চালিয়ে পাওনাদারদের কাছে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন বলেই খবর। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত জেলা পুলিশ মহল। আটক করা হয়েছে ২ অভিযুক্তকে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)