রাজ্য জুড়ে একের পর এক রাস্তার বেহাল দশা। বর্ষা এসেছে। পরিস্থিতি ক্রমশ বিগড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোন রাস্তা ঠিক কেমন পরিস্থিতিতে রয়েছে তা নিয়ে নবান্নের কাছে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। এবার এনিয়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য় সংগ্রহ করবে রাজ্য সরকার। সেজন্য প্রযুক্তির ব্যবহারও করা হবে। রাজ্য জুড়ে সড়ক সংক্রান্ত সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে জিআইএস ম্য়াপিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে বিশেষত গ্রামীণ এলাকায় রাস্তাগুলি বর্তমানে কী ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে তার সম্যক ধারনা যাতে পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা খারাপ থাকা নিয়ে কিছু ফোন ও চিঠি নবান্নে মাঝেমধ্য়েই আসে। কিন্তু কেন সেই রাস্তাগুলি সঠিক সময় সংস্কার করা হয় না তানিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার প্রায় চার হাজার কোটি টাকার কাজের প্রকল্পের অনুমোদন আটকে রয়েছে। তবে রাজ্য সরকার নিজেদের উদ্যোগেই পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা সংস্কারের উপর জোর দেয়। মূলত কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে শাসকদল তৃণমূল বার বার সরব হয়েছে। কিন্তু তারপরেও যে বঞ্চনা পুরোপুরি দূর হয়েছে তেমনটা নয়।
এদিকে সূত্রের খবর গ্রামীণ রাস্তাগুলি কী পরিস্থিতিতে রয়েছে তা নিয়ে সম্প্রতি বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী খোঁজ নিয়েছিলেন। এরপরই এনিয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বর্তমানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, রাস্তাগুলি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কোনও রাস্তা যদি তৈরির কিছুদিনের মধ্য়েই চলার অযোগ্য হয়ে যায়, নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয় সেটাও খোঁজ নেওয়া হবে।
মূলত একটি তথ্যভাণ্ডার থাকলে তার মাধ্যমে রাস্তাগুলির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সহজেই জানা যাবে। আর রাজ্য জুড়ে সেই কাজটা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কোন রাস্তাগুলির মেরামতি প্রয়োজন, কোথায় কোন রাস্তা কবে তৈরি করা হয়েছিল, রাস্তা সম্প্রসারণের দরকার আছে নাকি, সবটাই খোঁজ নেবে নবান্ন।
ভোটের আগে কিছু রাস্তার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল। এরপর বর্ষা এসেছে। ফের নতুন করে রাস্তা ভাঙছে। সেই রাস্তাগুলি মেরামত না করলে সমস্যা হতে পারে। সেকারণে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই রাস্তাগুলি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বাসিন্দাদের মতে, বাংলার কিছু রাস্তা বর্তমানে খারাপ হলেও সামগ্রিকভাবে বাম আমলের তুলনায় বাংলার রাস্তার অবস্থা অনেকটাই ভালো।