• ৩ মাসের প্রেমেই তুমুল ঝগড়া! প্রতারণার অভিযোগে চরম সিদ্ধান্ত ২১-এর যুবকের...
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ জুলাই ২০২৪
  • প্রসেনজিৎ সর্দার: সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ। শুরু হয়েছিল কয়েক মাসের প্রেমপর্ব। বিয়ে হওয়ার আগেই আত্মঘাতী হল যুবক। মৃতের নাম দেবাশীষ অধিকারী(২১)। ঘটনাটি ঘটেছে  রাতে ক্যানিং থানার অন্তর্গত সঞ্জয় পল্লি এলাকায়। ক্যানিং থানার পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ের সঞ্জয় পল্লির বাসিন্দা যুবক দেবাশীষ অধিকারীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ হয় নদীয়ার রানাঘাটের এক যুবতীর। শুরু হয় প্রেম। দীর্ঘ প্রায় তিনমাস যাবৎ চলছিল প্রেম। কোনও বিষয় নিয়ে রাতে ওই যুবতীর সঙ্গে ফোনে কথা কাটাকাটি হয় যুবকের। 

    মৃতের বোনের অভিযোগ ওই যুবতীর অন্য ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে তাই প্রায় সময় তাঁর ফোন ব্যস্ত থাকে বলে সন্দেহ করত। সেই নিয়ে এদিন দুজনের মধ্যে ব্যাপক ঝগড়া হয় ফোনে। পরে ওই যুবক পরিবারের অলক্ষ্যে নিজের ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। 

    পরিবারের লোকজন জানতে পেরে ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই যুবক কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরে ক্যানিং থানা পুলিস মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে ক্যানিং থানার পুলিস।

    আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 

    iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১

    কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭

    অন্যদিকে, তান্ত্রিককের হাতে খুন হয় এক যুবক। নিহত যুবকের নাম জিত দানা (১৯)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির খেতুড়া গ্রামে। অভিযুক্ত তান্ত্রিক মিলন নাইয়াকে গলসি থানার পুলিস গ্রেফতার করেছে। সোমবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। জেলা পুলিস সুপার আমন দীপ জানান, ধৃত সাধু মিলন নাইয়ার সঙ্গে নিহত যুবক জিত দানার সমপ্রেম সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাত থেকে জিত নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার সকালে বাড়ির লোকজন সাধুকে জেরা করে জানতে পারে জমিতে জিত পড়ে আছে। রাতে দু'জনের মধ্যে কোনও বিষয়ে অশান্তি হয়। তারপরই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় জিতকে।

    ধৃত তান্ত্রিক নিজেকে কালীর সাধক বলে দাবি করেন স্থানীয়দের কাছে। নানা রকম তন্ত্রসাধনার কাজও করতেন। ঝাড়ফুঁক করতেন তান্ত্রিক । মৃতের পরিজনদের দাবি, শনিবার রাত থেকে জিতের কোনও খোঁজ ছিল না। রবিবার সকালে তান্ত্রিককে জিজ্ঞাসা করে জিতের নিথর দেহের খোঁজ মেলে। 

    মৃতের বাবা সমীর দানা পুরুলিয়া একটি চালকলের কর্মী। জিত রাজমিস্ত্রির যোগানদার ছিলেন। জিতের বাবা বলেন, “আমার স্ত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। বছরখানেক আগে ওই তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম তন্ত্রসাধনার জন্য। সেই থেকে পরিচয়। তারপর থেকে আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করত ওই তান্ত্রিক।”

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)