সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ, অবশেষে উদ্ধার শৌলার ৬ মৎস্যজীবী
এই সময় | ০৩ জুলাই ২০২৪
সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ৬ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের শৌলায়। আগেই মাছ ধরার নৌকটি উলটানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তবে মৎস্যজীবীদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলি। নিখোঁজদের সন্ধানে যাতে আরও বেশি করে তৎপর হওয়া যায়, সেই জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদনও জানান হয়।জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৫ টা নাগাদ মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে যায় কৃষ্ণসারথি নামে একটি নৌক। সেই নৌকয় ছিলেন মোট ৬ জন। তাঁরা হলেন, সত্যেন বেরা, জগবন্ধু দাস, মানস বর, গৌতম বেরা, খোকন বর, জগন্নাথ বর। ১০টার সময় শেষবার ফোনে যোগাযোগ হয়। তারপর থেকেই ওই নৌকর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। বিকেল ৩টে-৪টে পর্যন্ত তাঁরা ফিরে না আসায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। ইতিমধ্যই জুনপুটের কাছে উলটানো অবস্থায় নৌকটির সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু মৎস্যজীবীদের তখনও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে শৌলা মৎস্য বন্দরের মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্য ধনঞ্জয় প্রামাণিক, মুখ্যমন্ত্রী, মৎস্য দফতর ও সংশ্লিষ্ট সমস্ত আধিকারিকদের কাছে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে। সেই সময় নিখোঁজ হয়ে যান ১৩ জন মৎস্যজীবী। যদিও প্রত্যেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর বাঘেরচরের কাছে হদিশ মেলে রায়দিঘির একটি ট্রলারের। জানা যায়, মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের বাঘেরচরের কাছে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এমনকী স্যাটেলাইট সিস্টেম ফ্রিকুয়েন্সি সিগন্যাল না থাকায় ট্রলারটির সঙ্গে কোনওরকমভাবে যোগাযোগও করা যাচ্ছিল না। পরে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সহায়তায় ট্রলারটির খোঁজ পাওয়া যায়। ট্রলারটিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে রায়দীঘিতে। প্রত্যেক মৎস্যজীবীই সুস্থ রয়েছেন বলে জানা যায়।
জানা যায়, গত ১৫ জুন এফ বি মাতৃ আশিস ট্রলারে চেপে মাছ ধরতে যান ওই ১৩ জন মৎস্যজীবী। কিন্তু ১৮ জুন থেকে ওই ট্রলারটির সঙ্গে আর কোনওরকম যোগাযোগ করা যায়নি। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ট্রলারের মালিক। পরিবারের সদস্যরাও উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। এরপরেই উদ্ধার করা হয় ওই নিখোঁজ মৎস্যজীবীদর।