জানা গিয়েছে, জখম ব্যক্তি আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বেধড়ক মারধরের চোটে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। একবালপুর নার্সিংহোমে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে ধাক্কা লাগে ওই ব্যক্তির। যা থেকে বচসার শুরু। তারপরই তা হাতাহাতিতে গড়ায়। স্থানীয় লোকজন এসে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির উপর চড়াও হয়। প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন মিলে চড়াও হয় ওই ব্যক্তির উপর। অভিযোগ, রড দিয়ে মারধর করা হয় ওই ব্যক্তিকে। রয়্যাল গেস্ট হাউসের ভিতরে ঢুকেও মারধর করা হয় তাঁকে।
এর আগে ঝাড়গ্রামে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। দুই যুবক স্কুটি নিয়ে ঘুরতে যাব বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। বাড়ি থেকে জামবনি যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে খাটকুরা বলে একটি জায়গায় গণপিটুনিরর শিকার হন তাঁরা। ওই জায়গায় একটি নির্মাণসংস্থার কাজ চলছিল। সেখানে কিছু যন্ত্রাংশ পড়েছিল। হঠাত্ করেই সেখানকার গ্রামবাসীরা তাদের ঘিরে ধরে। তারপর তাদের দুজনের বিরুদ্ধে যন্ত্রাংশ ও স্কুটি চুরির অভিযোগে মারধর করতে শুরু করে।
ওদিকে হুগলির তারকেশ্বরেও চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। চুরি করেছে বলে দাবি করে তাঁর থেকে টাকা চায়। তা অস্বীকার করলে তাকে বেধড়ক মারধর করা শুরু হয়। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় পিভিসি পাইপ ও লাঠি দিয়ে। ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে আসে মা। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।