রেলগেট খোলা থাকার অভিযোগ! চালকের তৎপরতায় এড়ানো গেল বড় দুর্ঘটনা
এই সময় | ০৩ জুলাই ২০২৪
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও সতেজ। তারই মাঝে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ির মালবাজার। চালক তড়িঘড়ি ব্রেক কষায় এড়ান গিয়েছে দুর্ঘটনা। ফলে কোনও হতাহতের খবরও নেই। ঘটনায়, আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম বলেন, 'বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।'ঠিক কী ঘটেছে?জানা গিয়েছে, চালসার দিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে মালবাজারের দিক ছুটছিল শিয়ালদাগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। মালবাজারের কাছে শোনগাছি চা বাগান এলাকায় রয়েছে একটি রেল গেট। অভিযোগ, দ্রুত গতিতে ছুটে আসা ট্রেনের চালক হঠাৎই দেখেন রেলগেট নামানো নেই, অথচ সিগন্যালে সবুজ। এছাড়া রেল গেটের গার্ড পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে না থাকায় চালকের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। রেল গেটের আরও কাছে পৌঁছতেই তিনি দেখেন, সেই সময় প্রচুর বাইক, সাইকেল এবং ছোট গাড়ি পারাপার করছে লাইনের উপর দিয়ে। এরপরেই ইমারজেন্সি ব্রেক কষার সিদ্ধান্ত নেন চালক। যদিও ততক্ষণে ট্রেনটি প্রায় রেলগেট ছুঁয়ে ফেলেছে।
গেট ম্যানের ভুলেই ঘটনা!ট্রেন থামিয়ে তড়িঘড়ি নেমে আসেন চালক এবং ট্রেনের অন্যান্য কর্মীরা। গেটম্যানের ঘরে ঢুকে দেখা যায় তিনি বসে রয়েছেন। একসঙ্গে এতজনকে ঘরে ঢুকতে হকচকিয়ে ওঠেন গেটম্যান। নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইতে থাকেন তিনি। সূত্রের খবর, রেলগেট খোলা রয়েছে, সেই বিষয়টি ভুলে যাওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বড়সড় দুর্ঘটনায় পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হয় বেশ কয়েকজনের। জানা যায়, একটি মালগাড়ি ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সজোরে ধাক্কা মারে। যার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দু'টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এদিকে সজোরে ধাক্কায় মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপরে একটি বগির অর্ধেক অংশ উঠে যায়। আরও একটি বগি রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়ে। তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধারকার্য। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। নিয়ে যাওয়ার হয় হাসপাতালে। খোলা হয় কন্ট্রোল রুম। রেলের পাশাপাশি তৎপর হয় রাজ্য সরকারও।
শিয়ালদা স্টেশনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হেল্প ডেস্ক চালু করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হেল্প ডেস্কের দায়িত্বে দেখা যায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তীকে। রাজ্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে ছোট, মাঝারি ও বড় বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়, যাতে কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রীরা শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছতেই তাঁদের নিজ নিজ গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায়। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শিরোনামে উঠে এল কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস।