চোপড়ার সালিশি সভাকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১। ধৃতের নাম আমিরুল ইসলাম ওরফে বুধুয়া। পুলিশ সূত্রে খবর, ভিডিয়ো দেখে আমিরুলকে চিহ্নিত করা হয় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন তাকে ইসলামপুর আদালতে তোলা হবে। জানা গিয়েছে, ধৃত আমিরুলের বাড়ি লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাককাটি এলাকায়। এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বুধুয়া বলে, 'আমি শুধু দর্শক ছিলাম'।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়, যেখানে এক ব্যক্তি লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারছে এক যুবক-যুবতীকে। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। ঘটনাটি চোপড়ার এবং লাঠি হাতে 'দাদাগিরি' করা ব্যক্তির নাম তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি, সামনে আসে এমনটাই। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে সে। এই ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হবে, এমনটাই স্পষ্ট জানানো হয়েছিল পুলিশের তরফে।
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, যুবক-যুবতীকে মারার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকেই। কিন্তু, কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। তাজিমুলকে গ্রেফতার করার পরই এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা কারা যুক্ত তাদের খোঁজ শুরু হয়। ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জেবি থমাস জানান, ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ওই যুবক যুবতী বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে সালিশি সভা বসানো হয়েছিল। আর সেখানেই তাদের মারধর করে জেসিবি, অভিযোগ এমনটাই।
এদিকে তাজিমুলের অপর একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল)। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তাজিমুল অপর এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করছে। সবমিলিয়ে গোটা রাজ্যে চোপড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল।
অন্যদিকে, তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানকে শো কজ করা হয়। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, 'মানুষের উপর অত্যাচারের কোনও খবর সামনে এলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।' যদিও শো কজ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার হামিদুল বলেন, 'আমার কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও চিঠি আসেনি।'
মঙ্গলবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের চোপড়ায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি যাননি। শিলিগুড়িতে বসেই তিনি বার্তা দেন। '...যা পদক্ষেপ করার করব', এমনই বার্তা দিয়েছেন তিনি।