• পাহাড়ে ধস, বন্ধ করা হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, শিলিগুড়ি থেকে ৩টি বিকল্প রুট জানুন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জুলাই ২০২৪
  • টানা বৃষ্টি  ও ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এই রাস্তা। তার জেরে এবার সেই রাস্তায় যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিল প্রশাসন। সমস্ত গাড়িকে বিকল্প রুটে ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের লাইফলাইন বলে পরিচিত এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কিন্তু টানা বৃষ্টি, তিস্তা নদীতে জল বৃদ্ধি ও বার বার ধসের জেরে এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বার বার ক্ষতির মুখে পড়ছে। তার জেরেই এবার সেই রাস্তা আপাতত পরবর্তী নোটিশ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    কালিম্পং  জেলা প্রশাসনের জারি করা নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মেল্লি বাজার, রবিঝোরা, লিখুবীর, ২৭ মাইল, সেলফিদারাসহ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জেরে এই রাস্তা মেরামতি করা প্রয়োজন। এর জেরে জেলাশাসক শ্রী বালাসুহ্মামণিয়ম টি একটি নির্দেশ জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ৩রা জুলাই থেকে এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে সমস্ত গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সমস্ত গাড়িকে অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী নোটিশ জারি না করা পর্যন্ত এই রুটে সমস্ত গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। চিত্রে থেকে শ্বেতী ঝোরা পর্যন্ত সমস্ত গাড়ি চলাচল এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ জারি করা হল। 

    ১) ছোট গাড়িগুলি কেবলমাত্র রংপো থেকে মনসুং, ১৭ মাইল,আলগারা, লাভা, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি আসতে পারবে। 

    ২) কেবলমাত্র ছোট গাড়িগুলি কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি যেতে চাইলে রেল্লি, সামথার, পানবু হয়ে শিলিগুড়ি আসতে পারে। 

    ৩) বড় গাড়ি, বাস, ছোট গাড়িগুলি রেষি, পেডং, আলগারা, লাভা, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি নামতে পারে। 

    রংপো চেকপোস্ট, মেল্লি বাজার, চিত্রে, ২৯ মাইল সহ কিছু জায়গায় রুট ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য কিছুটা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। 

    প্রয়োজনের ভিত্তিতে পুলিশ আরও কিছু জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বৃষ্টি, ধসের উপর গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে। 

    সেক্ষেত্রে যারা এই সময় কালিম্পং বা সিকিম যেতে চাইছেন তাঁরা বিকল্প রুটে যেতে পারেন। তবে ঝুঁকির যাতায়াত এড়িয়ে যাওয়াটাই মঙ্গল। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)