• পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই, কাদের নাম উঠল তালিকায়?‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জুলাই ২০২৪
  • নিয়োগ দুর্নীতি শুধু শিক্ষায় হয়েছে তা নয়। পুরসভাগুলিতে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। আর এবার এই মামলায় চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছিল সিবিআই। লোকসভা নির্বাচন শেষ হতেই এবার আলিপুর বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে অয়ন শীলকে। পাশাপাশি দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়ের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সময় দক্ষিণ দমদম পুরসভায় বেআইনিভাবে ২৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। এমনকী বিজ্ঞপ্তি জারি করে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ সিবিআইয়ের।

    এই দুর্নীতির পিছনে মূল কারিগর ছিলেন অয়ন শীল। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি মেলে। তার উপর ভিত্তি করে হয় তদন্ত। সেখানে বহু তথ্য বেরিয়ে আসে। জেরায় কিছু কথা স্বীকার করেন অয়ন শীল। ইডির তদন্তে ব্যবসায়ী অয়ন শীলের নাম প্রথম প্রকাশ্যে আসে। তাঁকে জেরা করতেই বেরিয়ে পড়ে রাজ্যের নানা পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে যোগসাজশ রয়েছে তাঁর। তখনই দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়–সহ কয়েকজনের নাম সামনে আসে। যদিও এই চার্জশিটে নাম থাকা নিয়ে পাঁচু রায় বলেন, ‘একটু অবাকই হলাম আমার নাম আছে শুনে। এমন ঘটনার সঙ্গে আমি যুক্ত নই। আমার ঘরে একবার অয়ন এসেছিল বলে সবাই বলছে। কিন্তু আমার সঙ্গে কখনও কথা হয়েছিল বলে মনে পড়ছে না।’


    অয়ন শীলের সঙ্গে একজন মহিলার যোগ ছিল। সে বিষয়ে সিবিআই কিছু বলেছে কিনা জানা যায়নি। সিবিআইয়ের দাবি, অয়ন শীলের সংস্থা রাজ্যের একাধিক পুরসভাগুলিতে নিয়োগের দায়িত্বে ছিল। তার জেরেই পুরসভার চেয়ারম্যানদের সঙ্গে অয়নের সম্পর্কও আলাদা মাত্রা পায়। তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গোপন আঁতাত হয় বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। দক্ষিণ দমদম পুরসভায় একই দিনে বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগের ঘটনা ঘটে। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান পদে থাকা পাঁচু রায় কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।

    এখানে অয়নের সঙ্গে সরাসরি কতজন যুক্ত বলে প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই সে কথা উল্লেখ করেছে কিনা জানা যায়নি। পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি প্রথমে তদন্ত শুরু করে। পরে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তদন্ত যায় সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই দাবি করেছে, পুরসভাগুলিতে ক্লার্ক, পিয়ন থেকে শুরু করে ড্রাইভার নিয়োগ করার ক্ষেত্রেও বেআইনি লেনদেন হয়েছে। ২০২৩ সালে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে দক্ষিণ দমদম–সহ ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। এবার জমা দিল চার্জশিট।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)