অশোক মান্না: ভর সন্ধ্যেবেলা প্রেমিকার উপর গুলি চালিয়ে নিজে আত্মঘাতী হয় এক যুবক। কলকাতার জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। লেক থানা এলাকায় তরুণীকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে যুবক। ওই তরুণী দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সূত্রের খবর, রাকেশ সাউ নামের ওই যুবকের বয়স ২৭। জখম তরুণী নিকু কুমারী দুবে বছর একুশের। দুজনই প্রতিবেশী। ৬/৭ বছরের সম্পর্ক ছিল তাদের। কিন্তু কোভিডের পর থেকে মেয়েটি সম্পর্ক রাখতে চাইছিল না। ছেলেটি তাও সম্পর্ক রাখার জন্য চাপ দিচ্ছিল। পুলিসের কাছে বয়ানে মেয়েটির দাবি, পুরনো মূহুর্তের কথা বলে ব্ল্যাকমেল করে দেখা করার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিল রাকেশ। ব্ল্যাকমেলের জেরে বাধ্য হয়ে আজ দেখা করতে আসে মেয়েটি। ঝগড়া শুরু হয় দুজনের। মেয়েটি যখন দরজা খুলে বেরিয়ে যাচ্ছিল তখনই গুলি করে।
বজবজ থানার ২ নম্বর বিদ্যাসাগর রোড বাসিন্দা রাজগীর সাউর তিন পুত্র ও চার কন্যা তার মধ্যে পুত্র রাকেশ কুমার সাউ-ছোট ছেলে। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ তার প্রেমিকা নিক্কু কুমারী দুবে ও রাকেশ কলকাতায় রওনা দেয়। তার বাড়ি থেকে দু-মিনিট দূরে থাকতেন নিকু কুমারী। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ভালবাসা ছিল এবং প্রায় ঝগড়া লেগে থাকত এমনটাই অভিযোগ মৃতের মায়ের।
এদিকে প্রতিবেশীদের অভিযোগ নিক্কু কুমারী প্রতিদিনই কাজের নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন। কোথায় কাজ করতেন কেউ জানে না। পাশাপাশি আরও জানায় যে তাদের মূল বাড়ি বিহারে। তার বাবা বজবজ মিলে কাজ করতেন। বর্তমানে মিল বন্ধ। যার কারণে দিনমজুরের কাজ করতেন মহিলার বাবা। নিক্কুর বাবা-মা বেশ কয়েকদিন আগে তার বিহারের বাড়িতে একটা বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে চলে যান। মূলত এখানে তার ভাই ও সে থাকতেন।
এই ঘটনা শোনার পর তার ভাই আহত বোনের কাছে চলে যান। জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে স্থানীয় এক গেস্ট হাউসে ঘর ভাড়া নেন ওই যুবক ও তাঁর সঙ্গিনী। এরপরই বিকেল ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ আচমকা গুলির আওয়াজ শুনতে পান গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার। কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ওই তরুণী।