মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়ে রাজ্যজুড়ে সরকারি জমি দখল, অবৈধ নির্মাণ, পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ প্রশাসন। সেই সময় জমি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয়েছিলেন জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিক। আর এবার তাকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির তৃণমূলের সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি ছিলেন দেবাশিস। সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁকে বহিষ্কার করার জানান তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ।
সরকারি জমি অবৈধভাবে কেনা বেচার অভিযোগ উঠেছিল দেবাশিসের বিরুদ্ধে। তারপরই গজলডোবায় দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করেছে ব্লক প্রশাসন। জানা গিয়েছে, গজলডোবায় ঝুলন্ত সেতুর কাছে ওই জমিটি অবস্থিত। জমিটি দখলমুক্ত করার পর তাতে সরকারি জমির সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই রাজ্যজুড়ে তৎপর হয় প্রশাসন। ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে হকার উচ্ছেদ অভিযানে নামে বিভিন্ন পুরসভা। জলপাইগুড়িতেও সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামে পুলিশ প্রশাসন। ওই এলাকায় দখল হয়ে যাওয়া একাধিক সরকারি জমি চিহ্নিত করা হয়। মঙ্গলবার রাজগঞ্জের বিডিও- এর উপস্থিতে সেখানে সরকারি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নবান্নের বৈঠকে সরকারি জমি জবরদখল বরদাস্ত করবেন না বলে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন। তারপরই তৈরি করে দেন কমিটি। নবান্নের পক্ষ থেকে প্রত্যেক জেলায় পাঠানো হয় নির্দেশিকা। সরকারি জমি বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় ডাবগ্রাম–ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস প্রামাণিককে।
দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করতেই নড়েচড়ে যায় গোটা চক্রটি। তখন দেবাশিসকে জেরা করে আরও দুজনের নাম পুলিশ জানতে পারে। তাই তখনই অপারেশনে নামেন তারা। তখন ওই দুজনকেও গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর প্রথমে তলব করেন দেবাশিস প্রামাণিককে। তখন তিনি কিছু বুঝতে না পেরে শিলিগুড়ি থানায় হাজির হন। আর তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর জেরা করে দেবাশিসের এই দুই শাগরেদকে গ্রেফতার করা হয়। আর এবার দল থেকে তার নাম কেটে দিল তৃণমূল।