দিঘায় এবার নতুন পথে রথযাত্রা, চূড়ান্ত প্রস্তুতি জেলা প্রশাসনের
এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৪
দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির থেকে এবার টানা হবে রথ। রথযাত্রা শেষ হবে পুরনো জগন্নাথ মন্দির পর্যন্ত। এবার প্রথম নতুন নির্মীয়মাণ মন্দির থেকে রথযাত্রার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে জেলা প্রশাসনের।রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দিঘায় গড়ে উঠছে জগন্নাথ মন্দির। সেই মন্দিরের উদ্বোধন কবে হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে রথযাত্রার চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু। ওল্ড দিঘার রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণ হয়েছে জগন্নাথ মন্দির। সেখানেই তৈরি হয়েছে রথ। রথযাত্রা হবে আগামী ৭ই জুলাই। তাই রথ নির্মানের কাজ যেমন চলছে তেমনি রথ টানার রাস্তা প্রস্তুত করতে ব্যস্ত দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সন্ধ্যায় পর্ষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে, নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির থেকে পুরনো জগন্নাথ মন্দির অর্থাৎ ওল্ড দিঘার সমুদ্র তটে যে জগন্নাথ মন্দির রয়েছে সেখান পর্যন্ত রথ যাবে। পুরনো জগন্নাথ মন্দিরকে মাসির বাড়ি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানেই জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা থাকবেন। নতুন জগন্নাথ মন্দির থেকে পুরনো জগন্নাথ মন্দির পর্যন্ত রাস্তার দুধারের দোকানপাট, রাস্তার ধারে পার্কিং করা গাড়ি সমস্ত কিছু বৃহস্পতিবার ৯ টার মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে।
যদি কেউ তা অমান্য করে থাকে তাহলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করে উচ্ছেদ করা হবে। ঘোষনার পরেও বেশকিছু দোকানদার দোকান তুলতে নারাজ। তাদের দাবি তাদের পুনরবাসনের ব্যবস্থা না করলে তা দোকান সরাবেন না। এখন দেখার আগামীকাল সময়ের মধ্যে দোকানে সরিয়ে নেয় না পুলিশ প্রশাসন জোর করে সরিয়ে দেয়।
রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘা। সেই দিঘায় পর্যটকদের আমোদপ্রমোদের জন্য নানা ব্যবস্থা করলেও দর্শনীয় স্থান সেইভাবে ছিল না। তাই রাজ্য সরকার জগন্নাথ মন্দির নির্মান করে ধর্মীয়স্থান গড়ে তুলতে চাইছে। পাশের রাজ্য উড়িষ্যার পুরির সমুদ্র দর্শনের পাশাপাশি পুরির জগন্নাথ মন্দির দর্শনে লাক্ষো লাক্ষো মানুষের সমাগম ঘটে। পুরি মতো দিঘায় পর্যটকরা যাতে জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে পারে তার জন্য রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নির্মীয়মান জগন্নাথ মন্দিরের কাজ প্রায় শেষের মুখে। খুব শীঘ্রই মন্দির সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। মন্দিরের দেব দেবির মুর্তি সব চলে এসেছে। শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। উদ্বোধন কবে হবে সেদিকেই তাকি জেলা তথা রাজ্যের মানুষ।