• মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ারে মিটল হকার সমস্যা, পুনর্বাসনে সন্তুষ্ট ব্যবসায়ীরা
    এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৪
  • কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য পুরসভা এলাকাতেও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারে, সরকারি জমি জবরদখল করে থাকা হকারদের সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কড়া নির্দেশ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেইমতো মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ার এলাকাতেও হকার উচ্ছেদ করা হয়। হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। নতুন জায়গা পেয়ে খুশি ব্যবসায়ীরা।মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল, মেদিনীপুর কলেজ সংলগ্ন গোলকুঁয়াচক থেকে পঞ্চুরচক পর্যন্ত রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরেই ফুটপাথ ধরে প্রচুর অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। যান চলাচলের অসুবিধার ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে সাধারণ বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর সেখান থেকে হকার উচ্ছেদের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়।

    যদিও, বুধবার সকালে পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন হকাররা। মেদিনীপুর কলেজ রোডে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে যান মহকুমাশাসক মধুমিতা মুখোপাধ্যায়। হকারদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। ওই সমস্ত দোকানদারদের মেদিনীপুর কলেজ থেকে ডিআই অফিসের সামনে পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান জানান, হকার-ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সমীক্ষা করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে বসার জন্য হকাররা রাজিও হয়েছিলেন। এরপরেও হকাররা বিক্ষোভ করছেন। প্রশাসনের তরফে তাঁদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে।

    মহকুমাশাসক ঘটনাস্থলে গিয়ে হকারদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ওই জায়গার একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। কিন্তু, হকারদের জবরদখলের কারণে সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। এই নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বারবার অভিযোগ করেছে।’

    মহকুমাশাসকের তরফে হকারদের জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় পানীয় জল, আলোর ব্যবস্থা করা হবে। নতুন জায়গায় তাঁদের ব্যবসা করতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেই ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অবশেষে হকাররা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন বলে জানান মহকুমাশাসক। আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত হচ্ছেন হকাররা। শহরে নতুন জায়গায় ‘ফুড জোন’ শুরু হতে চলেছে বলে আশাবাদী সকলেই। হকারদের জন্য অস্থায়ী ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও চিন্তা ভাবনা করছে পুরসভা। এক স্থানীয় হকার বলেন, ‘পুরসভার তরফে আমাদের যথাযথ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এসডিও ম্যাডাম এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুনর্বাসনের ব্যবস্থায় আমরা রাজি আছি। নতুন জায়গা থেকে আমাদের ব্যবসা শুরু হবে।’
  • Link to this news (এই সময়)