অর্ক দে, বর্ধমান: বর্ধমানের লজে মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতার ভাসুরকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত নজরুল খানকে। মহিলাকে খুনের পরই এলাকাছাড়া হয়ে যায় সে। তবে তাতেও শেষরক্ষা হল না। শেষমেশ পুলিশের জালে নজরুল।
গত রবিবার বর্ধমানের লজে পায়েল বেগম নামে ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বর্ধমানের খাগড়াগড় এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কয়েকমাস আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। স্বামী মাদকাসক্ত ছিলেন। রোগে ভুগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার হোটেলে মহিলার যে পুরুষ সঙ্গীর নাম পাওয়া গিয়েছে সেই নজরুল খান সম্পর্কে মহিলার ভাসুর। স্বামীর মৃত্যুর আগে থেকেই পায়েলের সঙ্গে ভাসুর নজরুলের সম্পর্ক ছিল জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তারা বর্ধমানের জি টি রোডের উপর থাকা হোটেলে ঘর ভাড়া নিতেন বলে হোটেলের কর্মীরা জানিয়েছেন। হোটেলের রেজিস্ট্রারে বুকে তাঁদের নাম রয়েছে। ঘটনার পরই পালিয়ে যায় নজরুল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নজরুলের খাগড়াগড় এলাকায় একটি মুদিখানা দোকান ছিল। সেই দোকান উঠে যাওয়ার পর সে জমি জায়গার দালালি করত। ভাই বেঁচে থাকার সময় থেকেই পায়েলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে নজরুলের। ভাইয়ের মৃত্যুর পরেও দুজনের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এমনকি তারা বিয়ে করবেন বলে মনস্থির করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। হোটেলে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নিতেন। কিন্তু পায়েলের অপর একটি সম্পর্কের কারণেই তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। জানা গিয়েছে, স্বামীর মৃত্যুর পর ফের এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পায়েল। পরবর্তীকালে নজরুল সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারে। অন্য পুরুষের সঙ্গে পায়েলের সম্পর্ক থাকার বিষয়ে মেনে নিতে না পেরেই পায়েলকে খুন করা হয় বলে অনুমান। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই খুনের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা।