• একাধিক বাড়ি ও দোকানে নোটিস, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সোনাঝুরির হাটেও উচ্ছেদ অভিযান?
    প্রতিদিন | ০৪ জুলাই ২০২৪
  • দেব গোস্বামী, বোলপুর: বেআইনি দোকান উচ্ছেদ নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে বোলপুরে সোনাঝুরির হাটের ছটি বাড়ি ও দুটি রিসোর্টকে নোটিস বনদপ্তরের। বনদপ্তরের অনুমান, ওই বাড়ি এবং রিসোর্টগুলি বনদপ্তরের জায়গায় রয়েছে। সেই কারণে জমির বৈধ কাগজ তলব করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

    বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কর্তৃপক্ষ বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে সেক্ষেত্রে বনদপ্তর কঠোর ব্যবস্থা নেবে না। কিন্তু যদি কাগজপত্রে সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে বৃহত্তর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি সোনাঝুরি, খোয়াই হাট কর্তৃপক্ষকেও নোটিস করা হতে পারে বলে জানা যায়। নোটিস পাওয়ার পর রিসোর্ট মালিক গণেশ ঘোষ বলেন, “নোটিস পাওয়া মানেই অবৈধ নয়। সোনাঝুরিপল্লিতে বনদপ্তরের বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর সেইসব নথি খতিয়ে দেখতে চাইছে বনদপ্তরের আধিকারিকেরা। নোটিস পাওয়া মাত্রই সমস্ত কাগজ জমা করা হয়েছে বনদপ্তরে। বৈধ কাগজপত্র জমা দিলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।”

    অন্যদিকে বোলপুরের বনদপ্তরের আধিকারিক জ্যোতিষ বর্মন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই সোনাঝুরিপল্লির হাট সংলগ্ন বেশ কয়েকটি বাড়ি ও কয়েকটি রিসোর্টের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতোই বৈধ কাগজপত্র আজ বোলপুরের বনদপ্তরে জমা করেছেন বাড়ির মালিক ও রিসোর্ট মালিকেরা। কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মিললেই শুরু হবে অভিযান।” তবে বিষয়টি জানাজানি হতেই সোনাঝুরিপল্লি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বনদপ্তরের এলাকা থেকে সোনাঝুরি হাট সরিয়ে দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় কুটিরশিল্পী ও হস্তশিল্পীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)