দাসপুরে কাঁসাই নদীর বাঁধ যেন জল-কাদায় ভরা কৃষিজমি! পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ
প্রতিদিন | ০৪ জুলাই ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার, ঘাটাল: নদীবাঁধ তো নয়, যেন বর্ষাকালের কৃষি জমি! অল্প বৃষ্টিতেই বেহাল হয়ে পড়ল দাসপুরের কাঁসাই নদীর বাঁধ। ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দাসপুর এক নম্বর ব্লকের নন্দনপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকবোয়ালিয়া গ্রাম-সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, চকবোয়ালিয়া থেকে বিহারিচক স্লুইসগেট পর্যন্ত কাঁসাই নদীর বাঁধ মেরামত ও রাস্তার দাবিতে পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনের কাছে বার বার আবেদন করা হয়েছে। কোনও নজর দেয়নি পঞ্চায়েত বা ব্লক প্রশাসন। বেহাল রাস্তা নিয়ে মানুষের ক্ষোভের কথা মানছেন দাসপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ভৌমিক। তিনি বলেন, “রাস্তাটি খুবই বেহাল এটা ঠিক। যেহেতু ওই রাস্তাটি সেচদপ্তরের অধীন তাই তাদের কাছেই আমরা অনুরোধ করেছি যাতে রাস্তাটি মেরামত করা যায়। সেচদপ্তর আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। রাস্তার এস্টিমেট করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোও হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হয়ে এলেই কাজ হবে।”
দাসপুর এক নম্বর ব্লকের কাঁসাই (Kasai river) নদীবাঁধ মেরামত নিয়ে গ্রামবাসীদের দাবি অনেক দিনের। বর্ষা এলেই জল-কাদায় ভরে যায় নদীর বাঁধ। হেঁটে চলাও দায়। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, বেশ কয়েকটি জায়গায় নদীবাঁধ ক্ষয় হতে শুরু করেছে। গ্রামবাসীদের পক্ষে শ্যামসুন্দর দোলই, রাধেশ্যাম দোলই, স্বরূপ দোলইরা বলেন, “এই নদীবাঁধ দিয়ে ৫-৭টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। অল্প বৃষ্টিতেই বেহাল হয়ে পড়েছে। নদীবাঁধ যেন হয়ে উঠেছে বর্ষাকালের কৃষি জমি। রাস্তা মেরামতের দাবিতে অনেকবারই পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনে আবেদন করা হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। এই সময় স্কুলের ছেলেমেয়েরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে। তাঁদের কথা ভেবে অন্তত এগিয়ে আসুক প্রশাসন। কোনও পরিবারের বিপদ হলে কোনও গাড়িই আসতে চাইছে না জল-কাদা পেরিয়ে। খুব সমস্যায় পড়েছি আমরা।”
এ বিষয়ে স্থানীয় সিপিএম নেতা তথা নন্দনপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান কালীপদ মাহাতো বলেন, “ওই রাস্তা নিয়ে আমরা বেশ কয়েকবার পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনে জানিয়েছি। কোনও কাজই হয়নি। আমরা জানি রাস্তাটি সেচ দপ্তরের আওতায়। আপদকালীন ব্যবস্থা হিসাবে যাতায়াতের উপযোগী করতে মেরামত করা-ই যায়। আসলে রাস্তাটি মেরামতের কোনও সদিচ্ছাই নেই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের। পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে এ নিয়ে আমার কথাও হয়েছে বেশ কয়েকবার। নদীবাঁধের বেশ কয়েকটি জায়গা এতই খারাপ যে, ভারী বর্ষায় বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে চলে যেতেও পারে। ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষকে।”