রাজ্যপাল বোসকে বাদ দিয়েই ২ বিধায়কের শপথ! জট কাটাতে সিদ্ধান্তের পথে স্পিকার
প্রতিদিন | ০৪ জুলাই ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শপথ জট কাটাতে এবার বিকল্প ভাবনা রাজ্য বিধানসভার। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে বাদ দিয়েই হতে পারে দুই বিধায়কের শপথ। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে X হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। স্পিকার সাংবাদিক বৈঠক করে শপথ জট নিয়ে মুখ খুলতে পারেন বলেই উল্লেখ করেন তিনি।
গত ৪ জুন, লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যের ২ বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়। বরানগর কেন্দ্রে জয়ী হন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলায় রেয়াত হোসেন সরকার। তার পর থেকে প্রায় মাসখানেক কেটে গেলেও শপথ জট অব্যাহত। আর তা কেন্দ্র করে রাজ্য ও রাজ্যপাল নজিরবিহীন সংঘাতের সাক্ষী বাংলা। রাজভবনের তরফে সায়ন্তিকা এবং রেয়াতকে চিঠি পাঠানো হয় বলেই খবর। ওই চিঠিতে দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে রাজভবনের তরফে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করা হয়। যদিও রেয়াত সেই চিঠি পাননি বলেই দাবি করেন। রাজভবনে গিয়ে শপথবাক্য পাঠে আপত্তি জানান সায়ন্তিকা। পরিবর্তে রাজ্য বিধানসভায় শপথ গ্রহণের আবেদন জানিয়ে একের পর এক চিঠি পাঠান সদ্য জয়ী তারকা বিধায়ক। বার বার রাজ্যপালকে রাজভবনে এসে শপথ বাক্য পাঠ করানোর অনুরোধ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়।
মাঝে শপথ জট নিয়ে নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকেও উষ্মাপ্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে সদ্য বিজয়ী বিধায়করা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন বলেই দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছেন বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জল গড়িয়েছে আদালতে। ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টে মমতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রাজ্যপাল। ওই মামলায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের নামও যুক্ত করা হয়েছে। আগামী ১০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এই পরিস্থিতিতে শপথ জট কাটাতে বিকল্প ভাবনার পথে রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে বাদ দিয়েই হতে পারে শপথ। এমনই নাকি ভাবনাচিন্তা করছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শপথ জট প্রসঙ্গে কী বলেন বিধানসভার স্পিকার, সেটাই এখন দেখার।