দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ, কী পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের?
এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৪
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। সমুদ্র সৈকতে এই মন্দিরের উদ্বোধন কবে হবে? সেই দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী। এদিকে, দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। এবার এই মামলার প্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষণ জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।জনস্বার্থ মামলায় আবেদন করা হয়, হিডকো শুধু রাজারহাটের উন্নয়নের কাজ করতে পারে। এর বাইরের কোনও জায়গার পরিকাঠামো উন্নয়ন করার ক্ষমতা হিডকোর নেই। বৃহস্পতিবার মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে ওঠে। এদিন মামলাটি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগ বিভিন্ন কাজ করতেই পারে। এতে কী ভুল রয়েছে? পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত রাজ্যের। তারা যে কোনও বিভাগকে দায়িত্ব দিতে পারে। এক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই।’ ৭ তারিখ এই মন্দিরটি উদ্বোধন করা হলে আদালতের কোনও আপত্তি নেই. স্পষ্ট জানানো হয়েছে এমনটাই। উল্লেখ্য, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দিঘাতেও একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার উদ্যোগ নেয় রাজ্য। এই মন্দির তৈরি হলে দিঘার জনপ্রিয়তা আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে ওল্ড দিঘা স্টেশন সংলগ্ন নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কের পাশে। মন্দির তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। ২০১৮ সালে এই মন্দিরটি তৈরির কথা ঘোষণা করে রাজ্য। ২০২২ সালে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এবার রথযাত্রা শুরু হবে এই নির্মীয়মান জগন্নাথ মন্দির থেকে। নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির থেকে পুরনো জগন্নাথ মন্দির অর্থাৎ ওল্ড দিঘার সমুদ্র তটে যে জগন্নাথ মন্দির রয়েছে সেই জায়গা পর্যন্ত যাবে রথ।
উল্লেখ্য, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নিয়ে কাজে তদারকি করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে গত বছর ৪ এপ্রিল এই নির্মীয়মাণ এই মন্দিরটি পরিদর্শন করেছিলেন। এই মন্দির নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। এখন থেকেই নির্মীয়মাণ জগন্নাথ দেবের মন্দিরের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন ভক্তরা। স্বাভাবিকভাবেই মন্দিরের দরজা কবে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে, সেই দিকে তাকিয়ে সকলেই।
জানা গিয়েছে, মন্দিরটি নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে রাজস্থানের বংশি পাহাড়ের বিখ্যাত বেলেপাথর। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে গেলে পর্যটনের নিরিখে এই সমুদ্র সৈকতের গুরুত্ব আরও অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।