• অফিসের মধ্যেই আইবুড়ো ভাতের আয়োজন, ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুললেন বর্ধমানের BDO
    এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৪
  • বিডিও অফিসের মধ্যেই আইবুড়ো ভাতের আয়োজনে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের একাংশ। হাজির শাসকদলের অনেকেই। বিডিও অফিসের মধ্যেই এলাহি আয়োজন করার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ইস্যু করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যদিও বিষয়টিকে পাত্তা দিতে নারাজ শাসকদল। এবার গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ওই বিডিও। বর্ধমান-১ নম্বরের বিডিও রজনীশ কুমার যাদবের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজনের পক্ষ থেকে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তিনি। সরকারি অফিসে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো এবং তারপর তৃণমূল নেত্রীকে প্রণাম করার ঘটনা নিয়ে নানান মহলেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।আইবুড়ো ভাত অনুষ্ঠানে ছিলেন বর্ধমান-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত, বর্ধমান-১ তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি তথা পূর্ত কর্মাধক্ষ্য মানস ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকেই। বাঙালি নিয়ম মেনেই সমস্ত আয়োজন করা হয়েছিল। বিডিওর গলায় মালা পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সামনের প্লেটে হরেক রকম পদ দিয়ে খাবার সাজানো হয়েছিল। সেখানে ছিল, মাছের মুড়ো থেকে খাসির মাংস,পনির থেকে দই,মিষ্টি। সবটাই হয়েছে বিডিও অফিসের মধ্যে।

    শাঁখ বাজিয়ে আধিকারিককে বরণ করা হয়। আর বরণের পরই প্রবীণা কাকলি তা গুপ্তকে প্রণাম করেন রজনীশ কুমার। আর এই নিয়েই সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও শেয়ার করেছেন।

    বর্ধমান-১ নম্বরের বিডিও রজনীশ কুমার যাদব বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে আমার বিয়ে। সেই জন্য এই আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করা হয়েছিল। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে এই আয়োজন করা হয়। পাশের বিল্ডিংয়ে তা হয়েছিল। 'কমন স্পেসে' তা হয়েছিল।'

    রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কাকলি তা গুপ্তের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন এই বিডিও। এই প্রসঙ্গে রজনীশ কুমার যাদব বলেন, ‘তিনি আমার মায়ের বয়সী। তিনি আমাকে আশীর্বাদ করেছেন, আমি প্রণাম করেছি। এটা আমাদের শিক্ষায় রয়েছে।'

    অন্যদিকে, কাকলি তা গুপ্ত বলেন, ‘সমিতির সদস্যরা অল্প বয়সী। তাঁরা আনন্দের সঙ্গে এই আয়োজন করেছিল। আমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমার কানে অনেক কিছু আসছে। কিন্তু, কোনও রাজনৈতিক কারণে এই কাজ করা হয়নি। পুরোটিই নিছক সৌজন্য বোধের কারণে করা হয়েছে। একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। ওঁর বয়সী আমার ছেলে রয়েছে। তাই আধিকারিক হলেও ওঁর সঙ্গে আমাদের একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে মুখরোচক আলোচনার কিছু নেই।’ গোটা আয়োজন 'অ্যান্টি চেম্বারে' হয়, এর সঙ্গে মূল অফিসের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানান তিনি।

    বৃহস্পতিবার এই নিয়ে জেলাশাসকের কার্যালয়েও চলে জোর চর্চা। অনেকেই এই কাজে কোনও ভুলই দেখছেন না। আবার প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ বলছেন, 'অফিস এড়িয়ে গেলেই তো গোটা বিতর্কটাই তৈরি হত না!'
  • Link to this news (এই সময়)