রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি না রেখে উলটে প্রতারণা। এসব অভিযোগে কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। প্রতারণার অভিযোগ উঠল করিমপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সুখিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া থানার গোবিন্দপুরের বাসিন্দা সুজন শেখ। তাঁকে চাকরি দেওয়ার নাম করে সুখিয়া খাতুন ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ। টাকা চাইতে গেলে মারধরের অভিযোগও ওঠে পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে থানারপাড়া থানার পুলিশ।
সুজন শেখের দাবি, সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) সুখিয়া খাতুনের সঙ্গে বছর কয়েক আগে তাঁর পরিচয় হয়। বিভিন্ন নেতানেত্রীদের সঙ্গে সুখিয়ার ছবি দেখে তাঁকে প্রভাবশালী বলে মনে হয় সুজনের। এর পর ওই যুবক নেত্রীকে জানান, তাঁর চাকরির প্রয়োজন। সেই সময় সুখিয়া খাতুন তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, হাসপাতালের গ্রুপ ডি (Group D) পদে চাকরি করে দেবেন। তবে তার জন্য ৫ লক্ষ টাকা লাগবে। এর পর অগ্রিম বাবদ গতবছরের জুন মাসে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন সুজন। কিন্তু এক বছর কেটে গেলেও চাকরি পাননি তিনি।
এর পর সুজন শেখ সেই টাকা ফেরত চান সুখিয়া খাতুনের কাছে। কিন্তু টাকা পাননি বলে অভিযোগ। এমনকী সুখিয়ার বাড়িতে সেই টাকা চাইতে গেলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ যুবকের। এর পর থানারপাড়া থানায় অভিযোগ জানাতে যান তিনি। পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। ফলে তেহট্ট (Tehatta) মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হন প্রতারিত (Fraud)যুবক। আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে থানারপাড়া থানার পুলিশ।
যদিও অভিযুক্ত সুখিয়া খাতুন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ”কালিমালিপ্ত করতেই এমন চক্রান্ত করা হয়েছে। ওই যুবকের বিরুদ্ধে আমিও আইনি পদক্ষেপ নেব।” সুখিয়া খাতুনের দাবিকে সমর্থন করেছেন করিমপুর ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি সৌমেন বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নদিয়া উত্তর বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস জানান, ”টাকার বিনিময় চাকরি ? এসব নতুন কিছু নয়, তৃণমূল নামক দলটার নিচু থেকে উঁচুতলা পর্যন্ত সকলেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের মধ্যে অনেকেই জেলের ঘানি টানছে।”