নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কলকাতায় রমরমিয়ে চলছে খাটাল, পদক্ষেপের পথে KMC
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ জুলাই ২০২৪
পুরসভার আইন বলছে কলকাতায় খাটাল বেআইনি। তারপরেও দিনের পর দিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রমরমিয়ে চলছে খাটাল। এরফলে খাটালের বর্জ্য পদার্থ গিয়ে পড়ছে নর্দমায়, আর তাতে নর্দমা বুজে গিয়ে নিকাশির সমস্যা হচ্ছে। শুধু তাই গবাদি পশুর বর্জ্য পদার্থ গিয়ে পড়ছে খাল বা ভেড়ির জলে। তার ফলে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ নাগরিক ও মৎস্যজীবীরা। এই অবস্থায় শহরে খাটাল নিয়ন্ত্রণে আবারও একবার তৎপর হল কলকাতা পুরসভা। জানা গিয়েছে, খাটাল বন্ধ করতে প্রথমে তথ্য সংগ্রহ এবং তারপরেই পদক্ষেপ করবে পুলিশ। এমনকী এর জন্য পুলিশের কাছ থেকেও সাহায্য চাওয়া হবে। এনিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসতে চলেছেন নিকাশি বিভাগের আধিকারিকরা।
পুরসভা সূত্রের খবর, আনন্দপুর, কাশীপুর, উল্টোডাঙা, বেহালা, তোপসিয়া, তিলজলা প্রভৃতি এলাকায় খাটালের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগ সেখানকার বাসিন্দাদের। অনেকেই টক টু মেয়রে ফোন করে খাটাল নিয়ে অভিযোগ জানান। তাদের অনেকের অভিযোগ, নর্দমায় খাটালের বর্জ্য জমে থাকার ফলে জল বের হচ্ছে না। আর সেই জল জমে খাটালের বর্জ ভেসে বেড়াচ্ছে। এরফলে দুর্গন্ধে ভরে যাচ্ছে গোটা এলাকা।
বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, গরু-মহিষের বর্জ্য পদার্থের দুর্গন্ধে কার্যত সেখানে থাকা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠছে। বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হচ্ছে না। তাছাড়া আরও অভিযোগ, এর পিছনে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর অভিসন্ধি রয়েছে। খাটালের বর্জ্যে আস্তে আস্তে বেশ কিছু জলাশয় বুজে যাচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় গত কয়েক বছর ধরে শহরের বুকে কীভাবে বেআইনি খাটাল তৈরি হচ্ছে? তাই নিয়ে এখন উঠছে প্রশ্ন। সে বিষয়ে পুরসভার নজরদারির অভাবের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ।
এর আগেও খাটাল নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করেছে পুরসভা। কিন্তু, বারবার অভিযোগ পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।জানা গিয়েছে, কোথায় কোথায় খাটাল রয়েছে সেই খাটালে কতগুলি গবাদি পশু রয়েছে তা চিহ্নিত করা হবে। তারপরে যে জমিতে খাটাল রয়েছে বা জমির মালিক কে, কারা খাটাল চালাচ্ছে? সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর একটি তালিকা তৈরি করে খাটাল সরানোর জন্য অভিযান চালাবে পুরসভা । সেক্ষেত্রে বিকল্প কোনও জায়গায় খাটাল সরানো হবে। শুধু তাই নয়, যদি খাটাল সরানোর কাজে কেউ বাধা দেয় তাহলে পুরসভা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে।