হাথরসের ঘটনা থেকে শিক্ষা, শ্রাবণী মেলার ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা
এই সময় | ০৫ জুলাই ২০২৪
হাথরসের ‘ভোলে বাবা সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক পুণ্যার্থীর। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১২১। মৃতের তালিকায় রয়েছেন ৭ শিশু-সহ শতাধিক মহিলা। ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলায় একগুচ্ছ সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে তারকেশ্বর পুরসভা ও ব্লক প্রশাসন।তারকেশ্বর পুরসভার সভা গৃহে প্রশাসনিক বৈঠক করে তারকেশ্বর পুরসভা এবং ব্লক প্রশাসন এবং রেলের অধিকারীরা। মূলত শ্রাবণী মেলা শুরু হয় গুরু পূর্ণিমার দিন থেকে এবং শেষ হয় রাখি পূর্ণিমায়। এবারে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা শুরু হচ্ছে গুরু পূর্ণিমার দিন অর্থাৎ ২১ শে জুলাই রবিবার অর্থাৎ ৫ ই শ্রাবণ এবং রাখি পূর্ণিমার দিন ১৯ শে আগস্ট অর্থাৎ সোমবার ২রা ভাদ্র শেষ হবে শ্রাবণী মেলা।
যদিও প্রতিবছর শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় শ্রাবণী মেলার উৎসব এবং গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে তারকেশ্বর মন্দিরে সমাগম হয় লাখ লাখ পুণ্যার্থীর। বিশেষ করে শ্রাবণ মাসের শনি রবি ও সোমবার তিল ধরানোর জায়গা থেকে না তারকেশ্বর শহর জুড়ে। শ্রাবণ মাসের প্রতি শনি রবি ও সোমবার এই তিন দিনে দশ লাখের উপর পুণ্যার্থীর ভিড় জমে তারকেশ্বরে।
হাথরসে ধর্মীয় সভায় দুর্ঘটনাকে মাথায় রেখে শ্রাবণী মেলায় তারকেশ্বরে আগত লক্ষ লক্ষ পূর্নাথীর সুরক্ষার স্বার্থে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তারকেশ্বর পুরসভা ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তারকেশ্বর পুরসভার পুর প্রধান উত্তম কুন্ডু, তারকেশ্বর ব্লকের আধিকারিক সীমা চন্দ্র, তারকেশ্বর থানার অফিসার ইনচার্জ তন্ময় বাগ, এছাড়াও রেল, স্বাস্থ্য দফতর, ফায়ার ব্রিগেড, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক থেকে তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ।
একদিকে যেমন মন্দিরে প্রবেশ পথের সংখ্যা বাড়ানো হবে। অন্যদিকে, মোতায়েন করা হবে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। স্বাস্থ্য শিবির কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে দমকল বিভাগের কর্মী ও দমকলের ইঞ্জিন। গোটা তারকেশ্বর শহর জুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও এবারে বাড়তি সিসিটিভি লাগানোর জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে পুলিশ।
তারকেশ্বর শহরে যানজট রুখতে শহরের বাইরে বাস সহ অন্যান্ন গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা করা হবে মেলা চলাকালীন। পুরসভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা পানীয় জল সরবরাহ ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান পুর প্রধান উত্তম কুন্ডু। মন্দির কর্তৃপক্ষকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন পুর প্রধান। তারকেশ্বর ব্লকের বিডিও সীমা চন্দ্র জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলা উপলক্ষে যে নির্দেশ দেওয়া হবে সেটাই মেনে চলা হবে যাতে কোনওরকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়।