মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার লিঙ্ক না থাকলে, সংশ্লিষ্ট হকার এই লিঙ্ক করতে দিন পাঁচেক সময় পাবেন। আধার লিঙ্ক হলে তবেই কোনও হকার পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী ডিজিটাল সমীক্ষায় নাম লেখাতে পারবেন। সূত্রের খবর, হকার সমীক্ষার কাজে যুক্ত আধিকারিকদের বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।হকারদের ফুটপাথ দখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তারপরেই শহর জুড়ে হকার নিয়ন্ত্রণের কাজে নামে কলকাতা পুরসভা। পুরকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন, নতুন অ্যাপ তৈরি করে হকারদের ডিজিটাল সমীক্ষা করা হবে। সেই কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে দিন দুইয়ের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি পুর আধিকারিককে ডিজিটাল সমীক্ষার কাজের জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা জানান, সমীক্ষায় নাম রেজিস্ট্রেশন করার জন্য তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, হকারদের মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করার। এই কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় পুর আধিকারিকদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, হকারদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক হকারের সিম কার্ড রয়েছে অন্যের নামে। সেই নম্বরে আধার লিঙ্ক নেই। হকারের নামের সঙ্গে মোবাইল নম্বর না মেলায় ডিজিটাল সমীক্ষা করতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যার মুখে পড়ছেন পুর আধিকারিকরা।
এই সমস্যার কথা জানতে পারেন পুরসভার উচ্চতর কর্তৃপক্ষও। উপায় খুঁজতে তাঁরাও বিস্তর আলোচনা করেন। সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত পুরকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন, যে যে হকারদের মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার লিঙ্ক নেই, তাঁদের সেই কাজ করতে দিন পাঁচেক সময় দেওয়া হবে। আধার লিঙ্ক করার পরে সেই নথি দিলে তবেই সংশ্লিষ্ট হকার ডিজিটাল সমীক্ষায় নিজের নাম লেখাতে পারবেন। পুর আধিকারিকদের সমীক্ষার কাজে সাহায্য করছে স্থানীয় থানাও। পুর আধিকারিকদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য ফিল্ডে তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তাও দেওয়া হচ্ছে।
হকারদের ডিজিটাল সমীক্ষার কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক জানান, কলকাতার মতো বড় শহরে সব হকারকে এক ছাতার তলায় আনা খুবই কঠিন কাজ। সেই কাজ করতে গিয়ে কিছু সমস্যা হবেই। সেই সব সমস্যার সমাধান করেই সমীক্ষার কাজ শেষ করতে হবে।