• বারাকপুরের ব্যবসায়ীকে হুমকি, সুবোধের শাগরেদকে আনা হল বাংলায়
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৫ জুলাই ২০২৪
  • অভিষেক আচার্য, বারাকপুর: সিআইডি হেফাজতে বিহারের গ্যাংস্টার সুবোধ সিং। এবার তার শাগরেদ রোশন ওরফে তাঁতিয়াকেও বাংলায় নিয়ে এল সিআইডি। সে বিহারের বেউর  জেলে বন্দি ছিল। বৃহস্পতিবার বারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছে রোশনকে। সিআইডি তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে।

    সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ জুন বারাকপুরের ব্যবসায়ী তাপস ভক্তকেও তোলা চেয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল এই রোশনই। সুবোধের নির্দেশেই রোশন ফোনে ব্যবসায়ীদের হুমকি দিচ্ছিল। একই সঙ্গে মণীশ শুক্লা খুনে অভিযুক্ত রোশন, সুবোধ ও তার শাগরেদরা কীভাবে বেউর জেল থেকে নেটওয়ার্ক চালাত সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিআইডি।

    বুধবার বিহারের গ্যাংস্টার সুবোধ সিংকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে সিআইডি। তাকে কলকাতার ভবানীভবনে আনা হয়েছে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। বাংলায় একাধিক অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুবোধ ও তার গ্যাং। বিহারের বেউর জেলের সেক্টর-৩’ এর ২২’ নম্বর ওয়ার্ডে বসে গ্যাং চালাত সে।

    সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহার, ঝাড়খণ্ড, বাংলা মিলিয়ে প্রায় ১২ টি রাজ্য সুবোধ গ্যাংয়ের ডালপালা ছড়িয়ে রয়েছে। নালন্দার বাসিন্দা সুবোধ ও তার গ্যাং তিনশো কোটির বেশি টাকার সোনা লুঠ করেছে। সেই লুঠ করা সোনা লুকানো ছিল বিহারের সমস্তিপুরের গঙ্গার চরে। রীতিমতো মাইনে করা লোকজন রয়েছে সুবোধ গ্যাংয়ে। ডাকাতির সময়ে তারা দুটি দলে ভাগ হয়ে যেত। একটি দল লুটপাট চালাত। তারাই সেই লুঠের সোনা অন্য দলকে দিত। ওই দল সোনা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে একেবারেই জানত না প্রথম দলের লোকজন।

    এ রাজ্যে ঘটে যাওয়া সোনার দোকানে ডাকাতি-তোলাবাজি ও খুনের ঘটনাগুলির কিনারা করতে তদন্তকারীরা সুবোধ ও তার শাগরেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছে। গ্যাং চালাতে তারা কোথা থেকে টাকা পেত বা জেলে কারা তাদের মদত করত সবই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)